ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাংকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও,সেই ম্যানেজার এখন গ্রেফতার

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার (এজিএম) সাইফুদ্দিন সবুজকে ঢাকার মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে মতিঝিল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যংকের ডিজিএম নূর মোহাম্মদ ঘটনার ম্যানেজারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে টাকা আত্মসাতকারী এ ম্যানেজার যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় তার ছবি সম্বলিত সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাশাপাশি বিমানবন্দরে চিঠি দেয়।

গত অক্টোবর মাসে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হলে তাকে ময়মনসিংহ শাখায় বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি ময়মনসিংগে যোগদান না করে পালিয়ে যান।

২০ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের ডিজিএম নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার নামে একটি মামলা করেন। দুইজন গ্রাহকের নামোল্লেখ করে তাদের ৫ লাখ টাকা জামানত খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় রুজু করা মামলার এজাহারে বলা হয়, পরবর্তীতে আরও যেসব অভিযোগ আসবে বা পাওয়া যাবে সেসবও এ মামলার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।

দুর্নীতি দমন আইনে দায়েরকৃত ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় পুলিশ ২০ অক্টোবর মামলার এফআইআর করে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখা থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ১৬ কোটি টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সোনালী ব্যাংকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও,সেই ম্যানেজার এখন গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার (এজিএম) সাইফুদ্দিন সবুজকে ঢাকার মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে মতিঝিল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যংকের ডিজিএম নূর মোহাম্মদ ঘটনার ম্যানেজারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে টাকা আত্মসাতকারী এ ম্যানেজার যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় তার ছবি সম্বলিত সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাশাপাশি বিমানবন্দরে চিঠি দেয়।

গত অক্টোবর মাসে সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘটনা জানাজানি হলে তাকে ময়মনসিংহ শাখায় বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি ময়মনসিংগে যোগদান না করে পালিয়ে যান।

২০ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের ডিজিএম নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তার নামে একটি মামলা করেন। দুইজন গ্রাহকের নামোল্লেখ করে তাদের ৫ লাখ টাকা জামানত খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় রুজু করা মামলার এজাহারে বলা হয়, পরবর্তীতে আরও যেসব অভিযোগ আসবে বা পাওয়া যাবে সেসবও এ মামলার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।

দুর্নীতি দমন আইনে দায়েরকৃত ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় পুলিশ ২০ অক্টোবর মামলার এফআইআর করে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখা থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ১৬ কোটি টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় হয়।