বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রথম বারের মত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা থেকে ৯২ কোটি টাকা আয় করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ (২৬ অক্টোবর) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্রান্সের ‘অবার্থু’র টেকনোলজিস’ ১৩৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে আমারদের । এছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্মার্ট কার্ড উৎপাদনের ফলে সরাসরি ১২৩ কোটি টাকা এবং বিদেশী খাম বাদ দেয়ায় আরো ৪৬ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ও নবায়নের ফি বাবদ ৯২ কোটি টাকা পেয়েছে ইসি।’
তিনি বলেন,‘অবার্থু’র টেকনোলজিসের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি ছিল। সেই চুক্তি মোতাবেক তাদের যে কার্যক্রম পরিচালনার কথা ছিল, তারা তা সেই ভাবে করতে পারেনি। যার জন্য তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করেছি। এখন আমরা সমস্ত কার্যক্রম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়, নিজেদের তত্ত্বাবধানে করছি। তারা ৩০ মাসে ১৩ মিলিয়ন কার্ড পারসোনালাইজেশন করতে পেরেছে। বর্তমানে আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে আমরা তা করতে পারছি মাত্র তিন মাসে। পাশাপাশি এ কাজের জন্য আমরা দক্ষ জনবলও তৈরি করতে পারছি।’
ইসির কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্স একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সালের জুলাইয়ে ৯ কোটি ভোটারকে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের জুনে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা দিতে না পারার শঙ্কায় পরে এর মেয়াদ ১৮ মাস বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। এরপর কমিশনের পক্ষ থেকে আবারও প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য একাধিকবার বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়।কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, আইডিইএ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০ কোটি ১৮ লাখের মতো ভোটার রয়েছে। প্রথম থেকে এনআইডি সংশোধন বা হারানো সেবা বিনামূল্যে দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।