বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নভেম্বর মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকা বিক্রি হলেও শেষ সপ্তাহে এসে তা ১০০ টাকা দাঁড়িয়েছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীসহ সারা দেশে কিছুটা কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম সামনে আরো কমবে। আর পেঁয়াজের দাম কমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত।
খুচরা বাজারের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীতে হঠাৎ করেই একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, বেশি দাম দিয়েও আড়তে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ ব্যবসায়ীই আড়তে গিয়ে মরিচ পাননি। বাজারে মরিচের সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়ে গেছে। একদিন আগেও ২৫০ গ্রাম মরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই মরিচ এখন ৬০ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি করতে হচ্ছে।
আজ (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর ও নিউমার্কেট এলাকার কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিকেজি বেগুন ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৮০-৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, সিম ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, প্রতিপিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৫০ টাকা ও লালশাক-পালংশাক ১০ টাকা করে আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
টানা ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালের বাজারে বিরাজ করছে অস্থিরতা। প্রতিকেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা, বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা-পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা।
এছাড়া সবশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে তেমন একটা অস্থিরতা নেই। কাতল মাছ ২৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ১৮০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দর অনুযায়ী প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতিপিস সাইজ অনুযায়ী দাম ১৫০-২২০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ছোঁয়ার কারণ হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। এর সঙ্গে আমদানিগত কিছু সমস্যা হওয়ায় বাজারে দাম বেড়ে গেছে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আশা করা যায় নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষেই দাম কমা শুরু হবে পেঁয়াজের।