ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির দুঃখ প্রকাশ

হাওরে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করেই হাওরবাসীকে টিকে থাকতে হয়। গত বছর আগাম বন্যায় হাওরে ফসলের ব্যাপক তি হয়েছিল। এ বছরও হাওরের মানুষ ফসল ঘর তুলতে অনেক কষ্ট করছে।

শুক্রবার দুপুরে মিঠামইনের কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে সমবেত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর হাওরে বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফসল তুলতে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর একদিনের সফরে এসে মো. আবদুল হামিদ কামালপুর গ্রামের বাড়ির মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তিনি বাবা হাজী মো. তায়েব উদ্দিন এবং মা তমিজা খাতুনের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি বাড়ি প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে সমবেত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম প্রমুখসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপতি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।

এর আগে বেলা ১২টার কিছু পরে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইন উপজেলা হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। পরে রিকশায় চড়ে তিনি উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি রিকশায় চড়ে বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সফর শেষে বিকাল সোয়া চারটার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় রাষ্ট্রপতির দুঃখ প্রকাশ

আপডেট টাইম : ০৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মে ২০১৮

হাওরে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করেই হাওরবাসীকে টিকে থাকতে হয়। গত বছর আগাম বন্যায় হাওরে ফসলের ব্যাপক তি হয়েছিল। এ বছরও হাওরের মানুষ ফসল ঘর তুলতে অনেক কষ্ট করছে।

শুক্রবার দুপুরে মিঠামইনের কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়ি প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে সমবেত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর হাওরে বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফসল তুলতে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর একদিনের সফরে এসে মো. আবদুল হামিদ কামালপুর গ্রামের বাড়ির মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তিনি বাবা হাজী মো. তায়েব উদ্দিন এবং মা তমিজা খাতুনের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি বাড়ি প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে সমবেত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, বিপিএম প্রমুখসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপতি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার রোডের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।

এর আগে বেলা ১২টার কিছু পরে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইন উপজেলা হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। পরে রিকশায় চড়ে তিনি উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি রিকশায় চড়ে বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সফর শেষে বিকাল সোয়া চারটার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।