ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন আইফোন ব্যবহারে সাবধান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অ্যাপল তাদের নতুন ‘আইফোন এক্সএস’ এবং ‘আইফোন এক্সএস ম্যাক্স’ ফোন  দুটিকে সবচেয়ে মজবুত ডিসপ্লের স্মার্টফোন হিসেবে তৈরি করেছে।

কিন্তু বাস্তবে দেখে গেছে বিপরীত ঘটনা। নতুন আইফোন দুটির কোনোটিই সিমেন্টের রাস্তায় পরার পর ডিসপ্লে অক্ষত থাকেনি। এ তথ্য জানিয়েছে ডিভাইস বিমা প্রতিষ্ঠান স্কয়ারট্রেড। প্রতিষ্ঠানটি ড্রপ টেস্ট পরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, অ্যাপলের অত্যাধুনিক মডেলের আইফোন দুটি ৬ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে গেলে ডিসপ্লেতে ফাটল ধরে।

এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের সামনের অংশ গ্লাস ডিসপ্লে এবং পেছনের অংশ গ্লাস প্যানেলে তৈরি করা হয়েছে। স্কয়ারট্রেড স্বাভাবিক ভাবেই ধারণা করেছিল, আগের আইফোনগুলোর তুলনায় নতুন আইফোনগুলো অনেক বেশি টেকসই কিন্তু প্রতিটি ড্রপ টেস্টে ফোন দুটি উৎরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

৬ ফুট উচ্চতা থেকে ব্যাক সাইড এবং ফ্রন্ট সাইড উভয় ধরনের ড্রপ টেস্টে দেখা গেছে, আইফোন এক্সএসের স্ক্রিন ভেঙেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ডিসপ্লে থেকে গ্লাস আলাদা হয়েছে। একই ঘটনা এক্সএস ম্যাক্সের ক্ষেত্রেও। তবে ৬ ফুট উচ্চতা থেকে ফেলার পর সবচেয়ে বাজে ভাবে স্ক্রিন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে এক্সএসে, এমনকি এর টাচস্ক্রিনটিও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্কয়ারট্রেডের মতে, উভয় আইফোন ৬০ সেকেন্ডের টাম্বল টেস্টেও ডিসপ্লেতে স্ক্র্যাচ, গ্লাস আলগা হয়ে যাওয়া এবং স্ক্রিনে ফাটল ধরেছে।

এছাড়া ২৫০ পাউন্ডের প্রেসার টেস্টে আইফোন এক্সএক্স ম্যাক্সের তুলনায় আইফোন এক্সএস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫০ পাউন্ড ওজনের চাপে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক্সএসের স্ক্রিন।

এ কারণে স্কয়ারট্রেড আইফোন এক্সএস ম্যাক্সকে উচ্চ স্থায়ীত্ব হিসেবে ৭০ স্কোর দিয়েছে, যার মানে এর স্ক্রিন নিয়ে মাঝারি ঝুকিঁ রয়েছে। অন্যদিকে আইফোন এক্সএসকে ৮৬ স্কোর দিয়েছে, যার মানে স্ক্রিন ভাঙার ক্ষেত্রে এটি উচ্চ ঝুঁকির।

স্কয়ার ট্রেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসন সিসিলিও বলেন, ‘আইফোন এক্সএস ম্যাক্স নিয়ে আমরা বিস্মিত হয়েছি, আইফোনের আগের মডেলগুলোর তুলনায় এটি অনেক বেশি টেকসই। যা হোক, পূববর্তী আইফোন এক্স-এর মতো নতুন আইফোন এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের ওপর আমাদের পরিচালিত পরীক্ষায় দেখে গেছে, উভয় ফোনের গ্লাস ডিজাইন ফাটল ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষ করে বেশি উচ্চতা থেকে পড়ে গেলে।’

সুতরাং কোনো দুর্ঘটনায় নতুন আইফোনের স্ক্রিন যদি ভাঙে, তাহলে ব্যবহারকারীকে বেশ অর্থ ব্যয় করতে হবে। কেননা আইফোন এক্সএসের স্ক্রিন মেরামতে ২৭৯ ডলার এবং অন্যান্য ক্ষতি মেরামতে ৫৪৯ ডলার লাগবে। অন্যদিকে আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের স্ক্রিন মেরামতে ৩২৯ ডলার এবং অন্যান্য ক্ষতি মেরামতে ৫৯৯ ডলার ব্যয় করতে হবে। যেসব ব্যবহারকারীর অ্যাপল কেয়ার সেবা নেই, তাদের জন্য এই উচ্চ খরচ প্রযোজ্য হবে।

স্কয়ার ট্রেডের গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ার পর আইফোন এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের স্ক্রিনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়া পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখার পরও কিছু হয়নি।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আইফোন ব্যবহারে সাবধান

আপডেট টাইম : ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অ্যাপল তাদের নতুন ‘আইফোন এক্সএস’ এবং ‘আইফোন এক্সএস ম্যাক্স’ ফোন  দুটিকে সবচেয়ে মজবুত ডিসপ্লের স্মার্টফোন হিসেবে তৈরি করেছে।

কিন্তু বাস্তবে দেখে গেছে বিপরীত ঘটনা। নতুন আইফোন দুটির কোনোটিই সিমেন্টের রাস্তায় পরার পর ডিসপ্লে অক্ষত থাকেনি। এ তথ্য জানিয়েছে ডিভাইস বিমা প্রতিষ্ঠান স্কয়ারট্রেড। প্রতিষ্ঠানটি ড্রপ টেস্ট পরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, অ্যাপলের অত্যাধুনিক মডেলের আইফোন দুটি ৬ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে গেলে ডিসপ্লেতে ফাটল ধরে।

এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের সামনের অংশ গ্লাস ডিসপ্লে এবং পেছনের অংশ গ্লাস প্যানেলে তৈরি করা হয়েছে। স্কয়ারট্রেড স্বাভাবিক ভাবেই ধারণা করেছিল, আগের আইফোনগুলোর তুলনায় নতুন আইফোনগুলো অনেক বেশি টেকসই কিন্তু প্রতিটি ড্রপ টেস্টে ফোন দুটি উৎরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

৬ ফুট উচ্চতা থেকে ব্যাক সাইড এবং ফ্রন্ট সাইড উভয় ধরনের ড্রপ টেস্টে দেখা গেছে, আইফোন এক্সএসের স্ক্রিন ভেঙেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ডিসপ্লে থেকে গ্লাস আলাদা হয়েছে। একই ঘটনা এক্সএস ম্যাক্সের ক্ষেত্রেও। তবে ৬ ফুট উচ্চতা থেকে ফেলার পর সবচেয়ে বাজে ভাবে স্ক্রিন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে এক্সএসে, এমনকি এর টাচস্ক্রিনটিও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

স্কয়ারট্রেডের মতে, উভয় আইফোন ৬০ সেকেন্ডের টাম্বল টেস্টেও ডিসপ্লেতে স্ক্র্যাচ, গ্লাস আলগা হয়ে যাওয়া এবং স্ক্রিনে ফাটল ধরেছে।

এছাড়া ২৫০ পাউন্ডের প্রেসার টেস্টে আইফোন এক্সএক্স ম্যাক্সের তুলনায় আইফোন এক্সএস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫০ পাউন্ড ওজনের চাপে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক্সএসের স্ক্রিন।

এ কারণে স্কয়ারট্রেড আইফোন এক্সএস ম্যাক্সকে উচ্চ স্থায়ীত্ব হিসেবে ৭০ স্কোর দিয়েছে, যার মানে এর স্ক্রিন নিয়ে মাঝারি ঝুকিঁ রয়েছে। অন্যদিকে আইফোন এক্সএসকে ৮৬ স্কোর দিয়েছে, যার মানে স্ক্রিন ভাঙার ক্ষেত্রে এটি উচ্চ ঝুঁকির।

স্কয়ার ট্রেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেসন সিসিলিও বলেন, ‘আইফোন এক্সএস ম্যাক্স নিয়ে আমরা বিস্মিত হয়েছি, আইফোনের আগের মডেলগুলোর তুলনায় এটি অনেক বেশি টেকসই। যা হোক, পূববর্তী আইফোন এক্স-এর মতো নতুন আইফোন এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের ওপর আমাদের পরিচালিত পরীক্ষায় দেখে গেছে, উভয় ফোনের গ্লাস ডিজাইন ফাটল ধরার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষ করে বেশি উচ্চতা থেকে পড়ে গেলে।’

সুতরাং কোনো দুর্ঘটনায় নতুন আইফোনের স্ক্রিন যদি ভাঙে, তাহলে ব্যবহারকারীকে বেশ অর্থ ব্যয় করতে হবে। কেননা আইফোন এক্সএসের স্ক্রিন মেরামতে ২৭৯ ডলার এবং অন্যান্য ক্ষতি মেরামতে ৫৪৯ ডলার লাগবে। অন্যদিকে আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের স্ক্রিন মেরামতে ৩২৯ ডলার এবং অন্যান্য ক্ষতি মেরামতে ৫৯৯ ডলার ব্যয় করতে হবে। যেসব ব্যবহারকারীর অ্যাপল কেয়ার সেবা নেই, তাদের জন্য এই উচ্চ খরচ প্রযোজ্য হবে।

স্কয়ার ট্রেডের গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ার পর আইফোন এক্সএস এবং এক্সএস ম্যাক্সের স্ক্রিনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়া পানিতে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখার পরও কিছু হয়নি।

তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল