বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা হাওর এলাকা হিসাবে মানুষের কাছে পরিচিত একটি নাম । এলাকার উচু জমি থেকে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় এবং এবার ধানের মুল্য বেশী হওয়ায় কৃষকেরা জমিতে আমন ধান চাষ করেন । হঠাৎ বর্ষার পানি বৃদ্ধিতে সেই আমন ধান এখন পানির নিচে ডুবে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা বর্ষার পানি কমার সাথে সাথে আগাম লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, মরিচ, ফুলকপি, লাউশাক, ডাটা, মূলা, বেগুন, মটরশুঁটিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে কৃষকের স্বপ্ন যেন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে নিমিষেই। এমনিতেই গত বর্ষায় লোকসান পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার নতুন করে আগাম সবজি পানির নিচে চলে গেলো কৃষকের। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কারপাশা , দামপাড়া , জারুইতলা , ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার আমন ধান এবং আগাম সবজি পানির নিচে ডুবে গেছে। তবে হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে এখন কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি।
কারপাশা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে আমার ১০ বিঘা জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়েগেছে । বর্ষার পানি চলে যাওয়ার পর আমি ১ বিঘা জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেছিলাম। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে তার সবই এখন নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ক্ষতি হয়েছে এক লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, অনেক জমি বৃষ্টির এবং বর্ষার পানির নিচে ডুবে গেছে ।
দামপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিন বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে আগাম এক বিঘা জমির ডাটা ও মূলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে মোবাইলে খোঁজে পাওয়া যায়নি ।