ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল সমর্থকরা

ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছেসমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের মীর হোসেন মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নু। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুন্নুকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার হোসেন। এ সময় এসআই কাউসারের সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। আটকের পর নান্নুকে কাউলিপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত নারী-পুরুষ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটক হওয়া নান্নুকে ছিনিয়ে আনা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নান্নু আওয়ামী লীগ করেন এটা ঠিক। কিন্তু তার মাধ্যমে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। কোনো মানুষ বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতা করেন নিজের টাকা দিয়ে। যার কারণে তার আটক হওয়ার খবর শুনে এলাকাবাসী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে এবং তাকে ছিনিয়ে আনে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহারভুক্ত আসামি না, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল সমর্থকরা

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছেসমর্থকরা। এ ঘটনায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের মীর হোসেন মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নু। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মুন্নুকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার হোসেন। এ সময় এসআই কাউসারের সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। আটকের পর নান্নুকে কাউলিপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শত নারী-পুরুষ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটক হওয়া নান্নুকে ছিনিয়ে আনা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, নান্নু আওয়ামী লীগ করেন এটা ঠিক। কিন্তু তার মাধ্যমে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। কোনো মানুষ বিপদে পড়লে তাকে সহযোগিতা করেন নিজের টাকা দিয়ে। যার কারণে তার আটক হওয়ার খবর শুনে এলাকাবাসী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে এবং তাকে ছিনিয়ে আনে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাউসার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহারভুক্ত আসামি না, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।