ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

জামালপুরের মেলান্দহে বালুআটা এম. এ রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গনিত) মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজারের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পাড়ানোর সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজার আমার মেয়েকে পাড়ানোর সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তার প্রস্তাবে রাজি হলে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেবেন বলেও জানান। রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করাইয়া দিবে এবং স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দিবেন বলে ভয় দেখান। কোচিং শাসনের ছলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেন। তার এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তার এমন আচরণে অনেক ছাত্রী কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এ রকম শিক্ষক চাই না। আমরা চাই বাবার মতো শিক্ষক। যার কাছে তারা স্নেহ পাবে, আদর্শ শিক্ষা পাবে।’

অভিযোগ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

বালুআটা এম. এ রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসা নিষেধ করা হয়েছে। আগামী রবিবার ইউএনও স্যার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

মেলান্দহ ইউএনও এস.এম. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আপডেট টাইম : ৫৫ মিনিট আগে

জামালপুরের মেলান্দহে বালুআটা এম. এ রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গনিত) মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজারের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পাড়ানোর সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজার আমার মেয়েকে পাড়ানোর সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তার প্রস্তাবে রাজি হলে পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেবেন বলেও জানান। রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করাইয়া দিবে এবং স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দিবেন বলে ভয় দেখান। কোচিং শাসনের ছলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করেন। তার এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তার এমন আচরণে অনেক ছাত্রী কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এ রকম শিক্ষক চাই না। আমরা চাই বাবার মতো শিক্ষক। যার কাছে তারা স্নেহ পাবে, আদর্শ শিক্ষা পাবে।’

অভিযোগ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মাসুদ রানা সিজারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

বালুআটা এম. এ রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসা নিষেধ করা হয়েছে। আগামী রবিবার ইউএনও স্যার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।

মেলান্দহ ইউএনও এস.এম. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’