ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত তিন ছাত্রের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন সাটুরিয়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার মিনি হলরুমে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে আহত ও শহীদদের স্বরণে তাদের স্বাজনদের উপস্থিতিতে স্বরণসভায় তিনটি পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন ইউএনও।
এ সময় তিনি উপজেলা প্রশাসশেনের পক্ষ থেকে পুলিশের গুলিতে আহত মো. জাহেদুর রহমান, সজীব হোসেন ও মিজানুর রহমান মিজানের সুচিকিৎসার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
আহতদের মধ্যে সজীব হোসেন বলেন, ‘মানিকগঞ্জের খালপাড় আন্দোলনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমাদের ওপর লাঠি ও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। পরে পুলিশ এসে গুলি করলে আমার বাম হাত ও পায়ের দুটি আঙ্গুল পড়ে যায়।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ধামরাইয়ের হার্ডিন্জ স্কুল এন্ড কলেজে আন্দোলনরত অবস্থায় সাটুরিয়ার দরগ্রাম গ্রামের শহীদ মো. আফিকুল ইসলাম (সাদ) পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার নামে দরগ্রাম বকুল তলাকে সাদ চত্ত্বরে সুন্দর্য্যবর্ধন ও দরগ্রাম সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান ভবনকে সাদ ভবন করার দাবি জানান সাদের চাচা মো. সাগর হোসেন। পরে শহীদ সাদ ও আহতদের সুস্বাস্থ্য কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
স্বরণসভায় বক্তব্য রাখেন, সাটুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর আহম্মদ, সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মামুন উর রশিদ, শহীদ সাদের চাচা মো. সাগর হোসেন,সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফয়েজীসহ আরও অনেকেই।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।