নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কৃষক দলের ‘কৃষক সমাবেশে’ হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলায় কৃষক দলের ৫ নেতা আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার ৮ নম্বর চরএলাহী ইউনিয়নের জাইকা আশ্রয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম মেম্বার (৫৩), সদস্য সচিব আবুল বাশার (৪০), সদস্য মনির হোসেন (৪৫), সদস্য মাইন উদ্দিন (৩৮), কৃষাণী জান্নাতুল ফেরদাউস (৪২)।
স্থানীয় ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা জানান, চরএলাহী ইউনিয়নে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা কৃষক দল। প্রথমে গাংচিল স্কুল মাঠে সমাবেশ করতে চাইলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বাধা দেয়। পরে স্থান পরিবর্তন করে জাইকা আশ্রয়কেন্দ্রে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় কৃষক দল। নির্ধারিত সময়ে আয়োজনে হঠাৎ স্থানীয় বিএনপি নেতারা হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল, মাইক ভাঙচুর করে সভা পন্ড করে দেয়। এতে বাধা দিলে কৃষক দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম মেম্বার বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার এবং সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে চর এলাহী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি ইসমাইল, ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব বাহাদুর, ইমাম উদ্দিন সবুজ, ইব্রাহীম, বিএনপি নেতা হোসেন মেম্বার, আবুল খায়ের মাষ্টার, রাসেল, কামাল, নুরুল হুদা মাষ্টার, সোহাগ, বাহাদুর, সাব্বির, আবদুল হাইসহ প্রায় এক থেকে দেড়শো লোক আমাদের সমাবেশে সশস্ত্র হামলা করে সমাবেশ পন্ড করে দেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ভিপি পলাশ বলেন, কৃষক দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নে আমাদের কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু উপজেলা বিএনপির নেতারা আমাদের সমাবেশ স্থলে হামলা ও ভাঙচুর চালয় এবং আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেন।
একই বিষয়ে কৃষক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ অভিযোগ করে বলেন, কৃষক দলের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পছন্দ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। সেজন্যই এ হামলা হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। হামলার বিষয়টি দলের হাই কমান্ডকে জানানো হয়েছে।