সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পাটলী ইউনিয়নে হামিদপুর এলাকায় নলজুর নদীতে মাছ ধরার উৎসব চলছে। আজ সোমবারসকাল থেকেই দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হামিদপুরে মাছ ধরতে দেখা যায় জেলে ও নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। জালে ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জগন্নাথপুর হামিদপুর নদীতে সৃষ্ট চরের পাশে হাঁটু-কোমর পানিতে নানান জাল দিয়ে মাছ শিকারের ধুম লেগেছে। কেউ জীবিকার তাগিদে আবার কেউ শখের বসে মাছ ধরতে নদীতে নেমেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মাছ ধরতে ব্যস্ত শিশু-কিশোররাও। জালে ধরা পড়েছে বৈরালী, বোয়াল, আইড়, গুলশা, টেংরা, কালিবাউশ, পুঁটি, টাকিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে নদীতেই মাছ বিক্রি করছেন কেউ কেউ।
মাছ ধরতে আসা কয়েকজন জানান, জগন্নাথপুর হামিদপুর বৈরালি ছাড়াও ধরা পড়ছে বোয়াল, বাগাড়, আইড়, কালিবাউশ, রিঠাসহ নানা প্রজাতির মাছ। আর এসব মাছ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। নদীর পাড় থেকে মাছ ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা সরাসরি এসব মাছ সংগ্রহ করছেন।
মাছ শিকারে আসা একজন বলেন, সবার কাছে শুনলাম জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্যায় প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমিও আসছি। আমি যা মাছ পেয়েছি তা আমার পরিবারের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
নজরুল ইসলাম নামে আরেক মাছ শিকারি বলেন, এখন আর আগের মতো মাছ নেই। নলজুরে পানি বাড়ার কারণে মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
মাছ ক্রেতা হেমেন্দ সরকার জানান, শুনেছি মাছের অনেক স্বাদ। সরাসরি নদী থেকে মাছ কিনতে পাচ্ছি। পাঁচশো টাকা কেজি দরে সাড়ে চার কেজি ওজনের একটা আইড় মাছ কিনেছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, এখন মাছের সময়, পাটলী ইউনিয়নে হামিদপুর নদীতে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে শুনেছি, যেতে পারিনি। শীত মৌসুমে একসাথে সবাই মাছ ধরছে, ভালই লাগছে।