ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাতলপাড় চকবাজারসহ বেশ কিছু পরিবার মেঘনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের মেঘনা নদী তীরবর্তী চাতলপাড় চকবাজারসহ বেশ কিছু পরিবার ভাঙন হুমকিতে পড়েছে। ব্যবসায়ীসহ ওই পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে তীব্র স্রোতে নদী তীরের পানির গভীরতা বেড়েছে। চাতলপাড় চকবাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু পরিবারের ঘর-বাড়ি মেঘনা নদীর পানির স্রোতে নদীতে ধসে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। বাজারের বিভিন্ন দোকানঘরে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন।

চকবাজার এলাকায় গণেশ রায়ের বাড়ির দেয়াল নদীর দিকে হেলে পড়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় মালামালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। যে কোনো সময় বাজারের দোকানসহ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে যে কোনো সময় বাজারের দোকানসহ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসউদ পারভেজ মজুমদার বলেন, উল্লিখিত এলাকা চিহ্নিত করে ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চাতলপাড় চকবাজারসহ বেশ কিছু পরিবার মেঘনা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে

আপডেট টাইম : ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের মেঘনা নদী তীরবর্তী চাতলপাড় চকবাজারসহ বেশ কিছু পরিবার ভাঙন হুমকিতে পড়েছে। ব্যবসায়ীসহ ওই পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে তীব্র স্রোতে নদী তীরের পানির গভীরতা বেড়েছে। চাতলপাড় চকবাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু পরিবারের ঘর-বাড়ি মেঘনা নদীর পানির স্রোতে নদীতে ধসে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। বাজারের বিভিন্ন দোকানঘরে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন।

চকবাজার এলাকায় গণেশ রায়ের বাড়ির দেয়াল নদীর দিকে হেলে পড়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় মালামালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। যে কোনো সময় বাজারের দোকানসহ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তাই তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে যে কোনো সময় বাজারের দোকানসহ কিছু পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসউদ পারভেজ মজুমদার বলেন, উল্লিখিত এলাকা চিহ্নিত করে ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।