ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিফাত হত্যার পরিকল্পনাকারীকে সামনে আনলেন মিন্নির বাবা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে এবার রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, ছোট বোন ছামিরা মেঘলা ও ছোট ভাই আবদুল মুহিত ক্বাফি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার বিষয়টি সামসুন্নার খুকি তার বোনের দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়, সেদিন রিফাত ও রিশান ফরাজী বলেছিল, তুই আমার মাকে গালাগাল করেছিস। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল।

রিফাত ও রিশান ফরাজী সামসুন্নাহার খুকিকে মা বলে ডাকতেন জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার ধারণা বাকবিতণ্ডার প্রতিশোধ নিতেই রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও হত্যাকাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে।

সামসুন্নাহার খুকির সঙ্গে রিফাত শরীফের বাকবিতণ্ডার বিষয়টি রিফাত শরীফ ও মিন্নি তাকে জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে মিন্নিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে এমন অভিযোগ করে মিন্নির বাবা বলেন, প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ আমার মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন (বুধবার) প্রকাশ্যে দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড গ্রুপ ধারালো রামদা দিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

রিফাত হত্যার পরিকল্পনাকারীকে সামনে আনলেন মিন্নির বাবা

আপডেট টাইম : ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে এবার রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি, ছোট বোন ছামিরা মেঘলা ও ছোট ভাই আবদুল মুহিত ক্বাফি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার বিষয়টি সামসুন্নার খুকি তার বোনের দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়, সেদিন রিফাত ও রিশান ফরাজী বলেছিল, তুই আমার মাকে গালাগাল করেছিস। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল।

রিফাত ও রিশান ফরাজী সামসুন্নাহার খুকিকে মা বলে ডাকতেন জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার ধারণা বাকবিতণ্ডার প্রতিশোধ নিতেই রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও হত্যাকাণ্ডের অগ্রভাগে থাকে।

সামসুন্নাহার খুকির সঙ্গে রিফাত শরীফের বাকবিতণ্ডার বিষয়টি রিফাত শরীফ ও মিন্নি তাকে জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে মিন্নিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে এমন অভিযোগ করে মিন্নির বাবা বলেন, প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ আমার মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন (বুধবার) প্রকাশ্যে দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড গ্রুপ ধারালো রামদা দিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।