ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগটি সুবিবেচনাপ্রসূত ও সময়োচিত বলে মনে করি আমরা।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে পৃথিবীর সব দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ায় ‘লকডাউন’ তথা সাধারণ ছুটি ঘোষিত হওয়ার পর ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কয়েক মাস প্রায় স্থবির ছিল।

এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ, মুদির দোকান, খুচরা-পাইকারি দোকান, মিষ্টির দোকান, সেলুন, মার্কেট ও বিপণিবিতানের ছোট ব্যবসায়ী- এসব ট্রেডিং ব্যবসায়ীকে কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি। অথচ সারা দেশে এ খাতে প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন।

জানা গেছে, তাদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনতে অর্থ সচিবের কাছে সম্মতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠিতে এসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের ২০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার কোটি টাকা এ খাতে ঋণ সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঋণ দেয়া হবে ৪ শতাংশ সুদে। আমরা মনে করি, প্রস্তাবটি বিবেচনার দাবি রাখে।

আশার কথা, পরবর্তী সময়ে অর্থ সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে এ জন্য এসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। এ কাজটি যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। কারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হলে প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সব ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। উল্লেখ্য, এসএমই খাতের প্রণোদনা বিতরণে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এর সুফল পেতে বিলম্ব হবে। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষতি কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। করোনার প্রভাবে দেশে প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ট্রেডিং ব্যবসায়ীরা। অথচ তাদের ঋণের চাহিদা কম। সরকার নীতিমালা সহজ করলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সহায়তা পেতে পারেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুবিধার্থে এদিকে দ্রুত দৃষ্টি দেয়া হবে, এটাই কাম্য।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন

আপডেট টাইম : ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগটি সুবিবেচনাপ্রসূত ও সময়োচিত বলে মনে করি আমরা।

বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে পৃথিবীর সব দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ায় ‘লকডাউন’ তথা সাধারণ ছুটি ঘোষিত হওয়ার পর ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কয়েক মাস প্রায় স্থবির ছিল।

এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ, মুদির দোকান, খুচরা-পাইকারি দোকান, মিষ্টির দোকান, সেলুন, মার্কেট ও বিপণিবিতানের ছোট ব্যবসায়ী- এসব ট্রেডিং ব্যবসায়ীকে কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি। অথচ সারা দেশে এ খাতে প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছেন।

জানা গেছে, তাদের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনতে অর্থ সচিবের কাছে সম্মতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠিতে এসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজের ২০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৬ হাজার কোটি টাকা এ খাতে ঋণ সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঋণ দেয়া হবে ৪ শতাংশ সুদে। আমরা মনে করি, প্রস্তাবটি বিবেচনার দাবি রাখে।

আশার কথা, পরবর্তী সময়ে অর্থ সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে এ জন্য এসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। এ কাজটি যত দ্রুত হয় ততই মঙ্গল। কারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হলে প্রণোদনা প্যাকেজের বাস্তবায়ন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সব ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। উল্লেখ্য, এসএমই খাতের প্রণোদনা বিতরণে ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের এর সুফল পেতে বিলম্ব হবে। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষতি কাটিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। করোনার প্রভাবে দেশে প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ট্রেডিং ব্যবসায়ীরা। অথচ তাদের ঋণের চাহিদা কম। সরকার নীতিমালা সহজ করলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সহায়তা পেতে পারেন। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুবিধার্থে এদিকে দ্রুত দৃষ্টি দেয়া হবে, এটাই কাম্য।