ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাম সমবায় সমিতি নারীর সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মহামারীর কারণে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দারিদ্র্যবিমোচনের গতি কমেছে। গত কয়েক মাসে কর্মসংস্থানও তুলনামূলক কম হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বিদেশে কর্মী প্রেরণ বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ গ্রামীণ এলাকার মানুষ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা বহুল আলোচিত।

এ প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে তা দেশের সার্বিক উন্নয়নে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এটা পরীক্ষিত যে, গ্রাম সমবায় সমিতির কার্যক্রম বেগবান করা হলে দারিদ্র্যবিমোচনে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০ উদযাপন এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেবল একা খাব তা নয়, সবাইকে নিয়ে, সবাইকে দিয়ে খাব, সবাইকে নিয়েই কাজ করব; সেই চিন্তা-ভাবনাটাই সমবায়ে সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সেটাই করবেন- সেটাই আমরা চাই।

গ্রাম সমবায় সমিতির কার্যক্রমে গুরুত্ব প্রদান করা হলে এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরও সরাসরি উপকৃত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। কাজেই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ যাতে দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ পায়, সমবায় সমিতির কার্যক্রমে তেমন পদক্ষেপ নিতে হবে। আশার কথা, সরকারের প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি এবং সমবায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে সমবায়ের মোট সদস্যের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ নারী। দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সমবায় কার্যক্রমে নারীদের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ কৃষক তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য মৌসুমেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বারোপ করা হলে মৌসুমের পরও সেসব পণ্য বিক্রি করা যাবে। এতে কৃষক লাভবান হবে। এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্বারোপ করা হলে আমাদের দেশের বিভিন্ন ফল মৌসুমের পরও রফতানি করা যাবে।

দেশের কৃষক ও স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টসহিষ্ণু মানসিকতা প্রশংসার দাবি রাখে। প্রান্তিক কৃষকও যাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে পারে, সেজন্য প্রযুক্তি সহজলভ্য করা দরকার। কুটির শিল্প, সেবাখাতসহ গ্রামীণ জনপদের সব সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হলে দেশের দারিদ্র্য সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম সমবায় সমিতি নারীর সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে হবে

আপডেট টাইম : ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মহামারীর কারণে অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও দারিদ্র্যবিমোচনের গতি কমেছে। গত কয়েক মাসে কর্মসংস্থানও তুলনামূলক কম হয়েছে। এছাড়া এ সময়ে বিদেশে কর্মী প্রেরণ বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ গ্রামীণ এলাকার মানুষ কতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা বহুল আলোচিত।

এ প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। দেশের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে তা দেশের সার্বিক উন্নয়নে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এটা পরীক্ষিত যে, গ্রাম সমবায় সমিতির কার্যক্রম বেগবান করা হলে দারিদ্র্যবিমোচনে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলে বহুমুখী গ্রাম সমবায় সমিতি গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। শনিবার ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০ উদযাপন এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেবল একা খাব তা নয়, সবাইকে নিয়ে, সবাইকে দিয়ে খাব, সবাইকে নিয়েই কাজ করব; সেই চিন্তা-ভাবনাটাই সমবায়ে সব থেকে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সেটাই করবেন- সেটাই আমরা চাই।

গ্রাম সমবায় সমিতির কার্যক্রমে গুরুত্ব প্রদান করা হলে এর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরও সরাসরি উপকৃত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। কাজেই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ যাতে দ্রুত ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ পায়, সমবায় সমিতির কার্যক্রমে তেমন পদক্ষেপ নিতে হবে। আশার কথা, সরকারের প্রচেষ্টায় সমবায় সমিতি এবং সমবায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে সমবায়ের মোট সদস্যের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ নারী। দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সমবায় কার্যক্রমে নারীদের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ কৃষক তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য মৌসুমেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বারোপ করা হলে মৌসুমের পরও সেসব পণ্য বিক্রি করা যাবে। এতে কৃষক লাভবান হবে। এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্বারোপ করা হলে আমাদের দেশের বিভিন্ন ফল মৌসুমের পরও রফতানি করা যাবে।

দেশের কৃষক ও স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টসহিষ্ণু মানসিকতা প্রশংসার দাবি রাখে। প্রান্তিক কৃষকও যাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে পারে, সেজন্য প্রযুক্তি সহজলভ্য করা দরকার। কুটির শিল্প, সেবাখাতসহ গ্রামীণ জনপদের সব সম্ভাবনা কাজে লাগানো সম্ভব হলে দেশের দারিদ্র্য সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।