ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানব কঙ্কাল পাচার: চোর চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কবর থেকে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। এ বিষয়ে নানা রকম পদক্ষেপ নেয়ার পরও কঙ্কাল চুরি থামছে না। কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে কিছুসংখ্যক মাথার খুলিসহ দুই বস্তা কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ থেকে বোঝা যায় কঙ্কাল পাচারকারীরা এখনও সক্রিয়।

জানা যায়, বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মানুষের কঙ্কালের চাহিদা থাকায় কঙ্কাল চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রটি এতটা সক্রিয়। ময়মনসিংহের গহিন অরণ্য ও পাহাড়ি জনপথ মানবদেহের কঙ্কাল প্রক্রিয়াকরণের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই জেলার বিভিন্ন স্থানে কবর থেকে লাশ চুরির খবর পাওয়া যায়। বস্তুত দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কঙ্কাল চোর চক্রগুলো সক্রিয় রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, কঙ্কাল চোর চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার কতিপয় মাদকাসক্তের পাশাপাশি গোরস্থানের কবর খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। চোর চক্রের সদস্যরা অর্থের লোভে লাশ কবর থেকে তুলে রাসায়নিকের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করে কঙ্কাল পাচারকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

কবরের সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে থাকে। কেউই চান না তার স্বজনের লাশ কবর থেকে চুরি হয়ে যাক। বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ চুরির বিষয়ে স্বজনরা অতিরিক্ত আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। নানা রকম অন্ধ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ চুরির ক্ষেত্রে চোর চক্রের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ করা যায়।

জানা গেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলে মৃতদেহের যে অবস্থা হয়, বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির মৃতদেহের অবস্থাও তেমন হয়ে থাকে। তারপরও এ ক্ষেত্রে চোর চক্রের কেন এমন তৎপরতা, তা রহস্যজনকই বটে। চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে মানুষের কঙ্কালের চাহিদা রয়েছে এবং তা সংগ্রহের বৈধ নিয়মও রয়েছে।

তারপরও যেহেতু এ চক্রের সদস্যদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, সেহেতু এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য।

যেহেতু শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মানব কঙ্কালের চাহিদা রয়েছে, সেহেতু এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি কঙ্কালের বিকল্প উপকরণও সহজলভ্য করতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মানব কঙ্কাল পাচার: চোর চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ কবর থেকে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। এ বিষয়ে নানা রকম পদক্ষেপ নেয়ার পরও কঙ্কাল চুরি থামছে না। কয়েকদিন আগে ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে কিছুসংখ্যক মাথার খুলিসহ দুই বস্তা কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ থেকে বোঝা যায় কঙ্কাল পাচারকারীরা এখনও সক্রিয়।

জানা যায়, বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মানুষের কঙ্কালের চাহিদা থাকায় কঙ্কাল চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রটি এতটা সক্রিয়। ময়মনসিংহের গহিন অরণ্য ও পাহাড়ি জনপথ মানবদেহের কঙ্কাল প্রক্রিয়াকরণের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই জেলার বিভিন্ন স্থানে কবর থেকে লাশ চুরির খবর পাওয়া যায়। বস্তুত দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কঙ্কাল চোর চক্রগুলো সক্রিয় রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, কঙ্কাল চোর চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার কতিপয় মাদকাসক্তের পাশাপাশি গোরস্থানের কবর খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। চোর চক্রের সদস্যরা অর্থের লোভে লাশ কবর থেকে তুলে রাসায়নিকের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করে কঙ্কাল পাচারকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে।

কবরের সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে থাকে। কেউই চান না তার স্বজনের লাশ কবর থেকে চুরি হয়ে যাক। বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ চুরির বিষয়ে স্বজনরা অতিরিক্ত আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। নানা রকম অন্ধ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির লাশ চুরির ক্ষেত্রে চোর চক্রের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ করা যায়।

জানা গেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলে মৃতদেহের যে অবস্থা হয়, বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তির মৃতদেহের অবস্থাও তেমন হয়ে থাকে। তারপরও এ ক্ষেত্রে চোর চক্রের কেন এমন তৎপরতা, তা রহস্যজনকই বটে। চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে মানুষের কঙ্কালের চাহিদা রয়েছে এবং তা সংগ্রহের বৈধ নিয়মও রয়েছে।

তারপরও যেহেতু এ চক্রের সদস্যদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, সেহেতু এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শনের সুযোগ নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের শনাক্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, এটাই কাম্য।

যেহেতু শিক্ষার্থী ও গবেষকদের মানব কঙ্কালের চাহিদা রয়েছে, সেহেতু এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি কঙ্কালের বিকল্প উপকরণও সহজলভ্য করতে হবে।