বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জানা গেছে, উত্তর জনপদের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ জনপদ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
শীতকালে দেশে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সর্দিজনিত কারণে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলেই করোনা আতঙ্কে চারপাশের লোকজন বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। এ অবস্থায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ এড়াতে সবাই বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিুআয়ের মানুষ।
ঠাণ্ডায় কয়েক ধরনের ভাইরাস অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। ঠাণ্ডাজনিত রোগ এড়াতে মানুষ আদা-চা খেয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে আদার যে বাজারদর, তাতে নিুআয়ের মানুষের পক্ষে প্রয়োজনীয় আদা ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। হাসপাতালগুলোয় এসব রোগীর সংখ্যাই বেশি।
নদীভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়া মানুষ শহরে গিয়ে কোনো না কোনো কাজ জোগাড় করে নেয়। এসব মানুষের বড় সমস্যা হল টেকসই আবাসন। ফলে সারা বছরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাদের নানা রকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী প্রদান করা হলেও সেটা যে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল তা বলাই বাহুল্য। কাজেই দেশের ছিন্নমূল মানুষের টেকসই আবাসনসহ জীবনমান বাড়াতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামারীর কারণে এবারের শীতকালে হতদরিদ্র মানুষের, বিশেষ করে বৃদ্ধদের দুর্ভোগ অনেক বেড়েছে। জানা গেছে, চলতি মাসে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলমান শৈত্যপ্রবাহের পর দেশে পুনরায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় দেশের হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ যাতে না বাড়ে সে জন্য এখনই নিতে হবে প্রস্তুতি। হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের যাতে কষ্ট না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় যানবাহন চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা না হলে কুয়াশাচ্ছন্ন এলাকায় দুর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।