ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আয়েশী জীবন তো আমার নয়

শরীফ সাদীঃ 

স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছি অনেক

দেখেছি কতজন থাকে পাশে,

স্রোতের অনুকূলে যখনই ছিলেম

দেখেছি অনেক কচুরিপানাও সাথে আসে।

রাজনীতির অঙ্গনে দ্রষ্টব্য দৃশ্য এটি।

এইতো প্রকৃতি, এইতো স্বভাব।

সূর্যকে ঢেকে দেয় মেঘ।

কিন্তু সূর্যই স্থায়ী,মেঘ নয়।

সূর্য রয়ে যায়,মেঘ সরে যায়।

সূর্য সত্য,সূর্য আলো মেঘ মিথ্যা,মেঘ কালো।

এমন কেউ কেউ আছে সারাজীবন উজানে বৈঠা ধরেছে।

আবার এমনও কেউ আছেন

জীবণভর অনুকূলে চলে আয়াশে কাটিয়েছেন।

আয়েশী জীবন আমার নয়।

আমার জীবণ কেটেছে সংগ্রামের ভেতর দিয়ে।

এ জীবনকে আমি বেছে নিয়েছি।

আয়েশী জীবনের সুযোগ-সম্ভাবনাকে দু’পায়ে ঠেলে দিয়েছি।

কারণ আমি বিশ্বাস করি,

যেখানে সংগ্রাম নেই যেখানে লড়াই নেই,

সে জীবন তো জীবন নয়।

সে জীবন আমার নয়।

যে নদীর স্রোত নেই আমি তাকে নদী বলি না।

যে জীবন বাধাহীন দুশ্চিন্তাবিহীন জীবন,

যে জীবনে লড়াই নেই,

সে জীবন তো জীবন নয়, সে জীবন্মৃত।

লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে আমার জীবনতরী এসে তীরে পৌঁছুবে।

স্বচ্ছ জলধারার স্রোতস্বিনী নদীতীরে

বটবৃক্ষের ছায়াতলে

সবুজ ধানক্ষেতের পাশে

উদার নীলাকাশের নীচে

প্রবহমান বিশুদ্ধ নির্মল হাওয়া থেকে

বুকভরা অক্সিজেন নেবো।

কেউ আটকে রাখতে পারবে না আমায়।

ব্যর্থচেষ্টায় রত আছেন যারা

তারাও আমার ভাই, আমার বন্ধু।

তাদের প্রতি আমার হৃদ্যিক

শুভাশিস ও শ্রাদ্ধিক

শুভ কামনা রইলো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আয়েশী জীবন তো আমার নয়

আপডেট টাইম : ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

শরীফ সাদীঃ 

স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছি অনেক

দেখেছি কতজন থাকে পাশে,

স্রোতের অনুকূলে যখনই ছিলেম

দেখেছি অনেক কচুরিপানাও সাথে আসে।

রাজনীতির অঙ্গনে দ্রষ্টব্য দৃশ্য এটি।

এইতো প্রকৃতি, এইতো স্বভাব।

সূর্যকে ঢেকে দেয় মেঘ।

কিন্তু সূর্যই স্থায়ী,মেঘ নয়।

সূর্য রয়ে যায়,মেঘ সরে যায়।

সূর্য সত্য,সূর্য আলো মেঘ মিথ্যা,মেঘ কালো।

এমন কেউ কেউ আছে সারাজীবন উজানে বৈঠা ধরেছে।

আবার এমনও কেউ আছেন

জীবণভর অনুকূলে চলে আয়াশে কাটিয়েছেন।

আয়েশী জীবন আমার নয়।

আমার জীবণ কেটেছে সংগ্রামের ভেতর দিয়ে।

এ জীবনকে আমি বেছে নিয়েছি।

আয়েশী জীবনের সুযোগ-সম্ভাবনাকে দু’পায়ে ঠেলে দিয়েছি।

কারণ আমি বিশ্বাস করি,

যেখানে সংগ্রাম নেই যেখানে লড়াই নেই,

সে জীবন তো জীবন নয়।

সে জীবন আমার নয়।

যে নদীর স্রোত নেই আমি তাকে নদী বলি না।

যে জীবন বাধাহীন দুশ্চিন্তাবিহীন জীবন,

যে জীবনে লড়াই নেই,

সে জীবন তো জীবন নয়, সে জীবন্মৃত।

লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে আমার জীবনতরী এসে তীরে পৌঁছুবে।

স্বচ্ছ জলধারার স্রোতস্বিনী নদীতীরে

বটবৃক্ষের ছায়াতলে

সবুজ ধানক্ষেতের পাশে

উদার নীলাকাশের নীচে

প্রবহমান বিশুদ্ধ নির্মল হাওয়া থেকে

বুকভরা অক্সিজেন নেবো।

কেউ আটকে রাখতে পারবে না আমায়।

ব্যর্থচেষ্টায় রত আছেন যারা

তারাও আমার ভাই, আমার বন্ধু।

তাদের প্রতি আমার হৃদ্যিক

শুভাশিস ও শ্রাদ্ধিক

শুভ কামনা রইলো।