ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব আরোহী নিহত আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিকেলে জানাজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ৩ দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার

গ্রামাঞ্চলে করোনার সংক্রমণ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একদিনে ৮ হাজারের বেশি সংক্রমণের তথ্য থেকেই স্পষ্ট-সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনার গ্রামগঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা নিতে শহরে ছুটছেন আক্রান্তরা। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা শহরেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।

কেবল খুলনা অঞ্চল নয়, সারা দেশেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রামে করোনা সংক্রমণ কম ছিল। এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামে চিকিৎসার সুযোগ কম। তাই তাদের যে কোনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিকটস্থ শহরে দৌড়াতে হয়। কিন্তু করোনায় আক্রান্তরা নিকটস্থ শহরে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষত যেসব রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট বা আইসিইউ প্রয়োজন, তাদের জেলা শহরে যেতে হয়; সেখানে সেবা না পেলে যেতে হয় রাজধানীতে।

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে এ সেবা যে সবাই নিতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য। রাজধানী বা বিভাগীয় শহর দূরে থাক, নিকটস্থ জেলা শহরে গিয়েও চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সাধ্য অনেকের নেই।

দুঃখজনক হলো, বিভাগীয় পর্যায়ের কোনো কোনো হাসপাতালেও শুধু প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে আইসিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সেবা জনগণ পায় না। কোনো কোনো হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে এক্স-রেসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ যাতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে, এ বিষয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রূপান্তরিত ধরন ‘ডেল্টা প্লাস’ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডেল্টা প্লাস’ ধরন সফলভাবে মোকাবিলা করতে হলে টিকা নিতে হবে; সেই সঙ্গে মাস্ক পরাসহ সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলোও পরিপালন করতে হবে।

দেশে করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় গণটিকাদান। এতে মানুষের মধ্যে হার্ড ইউমিনিটি তৈরি হবে এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খুব কম মানুষই টিকা নিয়েছেন বা নিতে পেরেছেন। গ্রামে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখন এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার সময় এসেছে। বস্তুত শুধু করোনা প্রতিরোধ ও এর চিকিৎসা নয়, প্রত্যন্ত এলাকায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা

গ্রামাঞ্চলে করোনার সংক্রমণ

আপডেট টাইম : ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একদিনে ৮ হাজারের বেশি সংক্রমণের তথ্য থেকেই স্পষ্ট-সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

গতকাল যুগান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খুলনার গ্রামগঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা নিতে শহরে ছুটছেন আক্রান্তরা। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা শহরেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।

কেবল খুলনা অঞ্চল নয়, সারা দেশেই এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, এর আগে গ্রামে করোনা সংক্রমণ কম ছিল। এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামে চিকিৎসার সুযোগ কম। তাই তাদের যে কোনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিকটস্থ শহরে দৌড়াতে হয়। কিন্তু করোনায় আক্রান্তরা নিকটস্থ শহরে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষত যেসব রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট বা আইসিইউ প্রয়োজন, তাদের জেলা শহরে যেতে হয়; সেখানে সেবা না পেলে যেতে হয় রাজধানীতে।

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ বেড়েছে। তবে এ সেবা যে সবাই নিতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য। রাজধানী বা বিভাগীয় শহর দূরে থাক, নিকটস্থ জেলা শহরে গিয়েও চিকিৎসাসেবা গ্রহণের সাধ্য অনেকের নেই।

দুঃখজনক হলো, বিভাগীয় পর্যায়ের কোনো কোনো হাসপাতালেও শুধু প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে আইসিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সেবা জনগণ পায় না। কোনো কোনো হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে এক্স-রেসহ বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষ যাতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে, এ বিষয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রূপান্তরিত ধরন ‘ডেল্টা প্লাস’ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডেল্টা প্লাস’ ধরন সফলভাবে মোকাবিলা করতে হলে টিকা নিতে হবে; সেই সঙ্গে মাস্ক পরাসহ সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলোও পরিপালন করতে হবে।

দেশে করোনা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় গণটিকাদান। এতে মানুষের মধ্যে হার্ড ইউমিনিটি তৈরি হবে এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলের খুব কম মানুষই টিকা নিয়েছেন বা নিতে পেরেছেন। গ্রামে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখন এদিকে দৃষ্টি দেওয়ার সময় এসেছে। বস্তুত শুধু করোনা প্রতিরোধ ও এর চিকিৎসা নয়, প্রত্যন্ত এলাকায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।