পরীক্ষিত চৌধুরীঃ
আমি যখন কবিতা বলব বলে
উঠে দাঁড়াই
শব্দেরা ভিক্ষাপাত্র নিয়ে বলে,
আমায় কিছু অর্থ ধার দাও।’
-মির্জা গালিব
গালিব,
তোমার মনে আছে নিশ্চয়
কয়েদখানার অন্ধ প্রকোষ্ঠে,
যখন তুমি প্রিয় ‘ওল্ড টম’ থেকে
বঞ্চিত,
অতি উৎসাহী এক পাহারাদার
প্রতিদিন
কবিতা লিখে এনে দেখাতেন
তোমাকে
তুমি বাধ্য হয়ে
পড়তে
আর প্রতিক্রিয়া জানাতে!
এটা বড্ডো বিব্রত করতো তোমাকে–
– কারাবাসের মধ্যে একমাত্র
ওইটিই চরম অস্বস্তিতে ফেলতো
তোমাকে।
আর এখন এই
জোছনার মদিরাপ্লাবিত
আলোকিত কয়েদখানায়
চন্দ্রগ্রস্ত আমি
ভুল ব্যাকরণ আর
স্বরলিপি নিয়ে
ঘুণেধরা স্বপ্নবাসরে বসে
ঘন ঘন জন্ম দিচ্ছি
কবিতার
আর
গালিবকে দেখছি
বিচলিত হতে হতে
বিব্রত হতে হতে
অপ্রস্তুত হতে হতে
শায়েরির ভবিষ্যত উদ্বিগ্নতায়
শীতে কুঁকড়ে মুচড়ে যাওয়া
ছিন্নপত্র —
— হে গালিব,
এ খাঁচা ভেঙে কে মুক্ত করবে
তোমাকে?
(লকডাউনের ২য় দিন,)