ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীত আসার আগে যে কাজ করলে ভোগাবে না খুশকি

শীতকাল মানেই খুশকির বিড়ম্বনা। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া ও অতিরিক্ত দূষণের কারণে খুশকি হয়। এর ফলে চুল পড়া, রুক্ষতা ও মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।

অনেকে মনে করে থাকেন শুধু চুলের কারণে খুশকির সমস্যা হতে পারে। আসলে জিনিষটি এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমস্যা স্ক্যাল্পের। আপনার স্ক্যাল্পে যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি না পৌঁছায়, আর্দ্রতার অভাব থাকে, তখনই চুলে নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। যেমন স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে অনেক সমস্যাই হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগায় খুশকি। যেহেতু শীত আসছে, তাই আগে থেকেই স্ক্যাল্পের যত্ন নিতে হবে।

গরম পানি

গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার না করে ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করা ভালো। এতে স্ক্যাল্পের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে। পাশাপাশি চুলও আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এতে চুল নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়।

নারকেল তেল

নারকেল তেল স্ক্যাল্প ও চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে ২-৩ বার নারকেল তেল স্ক্যাল্পে মালিশ করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুল ও স্ক্যাল্পে নারকেল তেল মালিশ করেন।

হালকা শ্যাম্পু 

বেশি ক্ষার রয়েছে, এমন শ্যাম্পু চুলের জন্য খারাপ। পাশাপাশি স্ক্যাল্পেও নানা সমস্যা দেখা দেবে। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু দিয়েই স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার করুন।

মধু

স্ক্যাল্প শুষ্ক থাকলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের শুষ্ক ভাব, চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। পানি মধ্যে মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে মেখে নিতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীত আসার আগে যে কাজ করলে ভোগাবে না খুশকি

আপডেট টাইম : ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

শীতকাল মানেই খুশকির বিড়ম্বনা। সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া ও অতিরিক্ত দূষণের কারণে খুশকি হয়। এর ফলে চুল পড়া, রুক্ষতা ও মাথার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।

অনেকে মনে করে থাকেন শুধু চুলের কারণে খুশকির সমস্যা হতে পারে। আসলে জিনিষটি এমন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমস্যা স্ক্যাল্পের। আপনার স্ক্যাল্পে যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি না পৌঁছায়, আর্দ্রতার অভাব থাকে, তখনই চুলে নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। যেমন স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে অনেক সমস্যাই হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগায় খুশকি। যেহেতু শীত আসছে, তাই আগে থেকেই স্ক্যাল্পের যত্ন নিতে হবে।

গরম পানি

গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার না করে ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করা ভালো। এতে স্ক্যাল্পের পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকবে। পাশাপাশি চুলও আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এতে চুল নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়।

নারকেল তেল

নারকেল তেল স্ক্যাল্প ও চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। সপ্তাহে ২-৩ বার নারকেল তেল স্ক্যাল্পে মালিশ করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুল ও স্ক্যাল্পে নারকেল তেল মালিশ করেন।

হালকা শ্যাম্পু 

বেশি ক্ষার রয়েছে, এমন শ্যাম্পু চুলের জন্য খারাপ। পাশাপাশি স্ক্যাল্পেও নানা সমস্যা দেখা দেবে। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু দিয়েই স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার করুন।

মধু

স্ক্যাল্প শুষ্ক থাকলে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের শুষ্ক ভাব, চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। পানি মধ্যে মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে মেখে নিতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।