মাহিয়া মাহির বিয়ে বিতর্ক কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। একের পর এক নিত্যনতুন বিতর্কের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই অভিনেত্রী। শুধু শাহরিয়ার শাওন নয়, তার গোটা পরিবারের দাবি, মাহি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিয়ের পর তারা বুঝতেই পারেননি ভবিষ্যতে এরকম দিনও দেখতে হবে। এমনটাই আক্ষেপ করে বললেন শাওনের বড় চাচা আবুল হাসেম।
তিনি বলেন, “বিয়ের আগে বেশ কয়েকবার শাওনদের বাসায় এসেছে মাহি ও তার পরিবার। মূলত তাদের দিক থেকেই পীড়াপীড়ি ছিল এই বিয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুই পরিবার। আর বিয়েটা সম্পন্ন হয় শাওনের এক চাচাতো দাদার বাসায়। বিয়ের পর মাহি শাওনদের বাড্ডার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। তবে বেশিরভাগ
সময় থাকতো উত্তরাতে। কারণ শ্যুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাকে যেতে হতো।”
আবুল হাসেম আরো বলেন, “বিয়ের পর পারিবারিক রীতি অনুযায়ী আমাদের সব আত্মীয়-স্বজনের বাসায় দাওয়াতে অংশ নিয়েছে মাহি ও শাওন। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বেশ সরব ছিল তারা। এমনকি মাহি নিজ হাতে তার দাদা শ্বশুরের জন্য শরবতও বানিয়েছিল। অথচ সেই মাহিই এখন আমাদের অস্বীকার করছে। এখনো মাহির প্রতি স্নেহ রয়েছে আমাদের। কষ্ট একটাই সে অস্বীকার করছে। যদি চলে যেতে চায় স্বেচ্ছায় যেতে পারতো। এতোকিছু না করলেও হতো।”
অপুর সঙ্গে বিয়ের আগে কোনোকিছুই কি আঁচ করতে পারেননি এমনটা জানতে চাইলে শাওনের চাচা আবুল হাসেম বলেন, “ওই যে আগেই বললাম মাহি কয়েকদিন থাকতো এখানে আর কয়েকদিন থাকতো তাদের উত্তরার বাসায়। তাই বুঝে উঠতে পারেনি। বিয়ের খবর মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা জেদের বশে ফেসবুকে বেম কয়েকটা ছবি প্রকাশ করে শাওন। তাই তো এতো ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এখন।”
অন্যদিকে, মাহির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাওনের আইনজীবী এডভোকেট বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, ” আগে শাওনকে জামিনে আনার জন্য কাগজপত্র গোছাচ্ছি। এরপর নেবো মাহির বিরুদ্ধে মামলার পদক্ষেপ। যেহেতু স্বামী বহাল থাকা অবস্থায় আর একটি বিয়ে করেছেন তাই মামলার প্রাথমিক কাজকর্ম গুছিয়ে নিচ্ছি।”
এদিকে, গতকাল রাতে হঠাৎ করে দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় মাহির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।-বিডি প্রতিদিন