ঢাকা , রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

‘‘পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব ‘পরিবেশ দিবস ২০১৬’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বন ও বন্যপ্রাণী পরিবেশ ও প্রতিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং মানুষের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হরিণ, বাঘ, সিংহ, হাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর চামড়া, দাঁত, শিং ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদা থাকায় বিশ্বব্যাপী এর বাণিজ্যে প্রসার ঘটেছে।

অবৈধ পাচার ও বেআইনি শিকারের ক্রমবর্ধমান তৎপরতার ফলে দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে এসব মূল্যবান প্রাণীর সংখ্যা। বিপন্ন হচ্ছে এদের অস্তিত্ব।

এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান ‘এড় ডরষফ ভড়ৎ খরভব!’ যার ভাবার্থ করা হয়েছে  ‘বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ, বাঁচায় প্রকৃতি বাঁচায় দেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধন ও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে আইনটি যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

সারাবিশ্বে বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, দ্রুত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস, নির্বিচারে বন্যপ্রাণী পাচার ও নিধনের ফলে অনেক প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। পরিবেশ, প্রতিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানাই।

আমি বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

আপডেট টাইম : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

‘‘পরিবেশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব ‘পরিবেশ দিবস ২০১৬’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বন ও বন্যপ্রাণী পরিবেশ ও প্রতিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং মানুষের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হরিণ, বাঘ, সিংহ, হাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর চামড়া, দাঁত, শিং ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদা থাকায় বিশ্বব্যাপী এর বাণিজ্যে প্রসার ঘটেছে।

অবৈধ পাচার ও বেআইনি শিকারের ক্রমবর্ধমান তৎপরতার ফলে দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে এসব মূল্যবান প্রাণীর সংখ্যা। বিপন্ন হচ্ছে এদের অস্তিত্ব।

এ পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্লোগান ‘এড় ডরষফ ভড়ৎ খরভব!’ যার ভাবার্থ করা হয়েছে  ‘বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ, বাঁচায় প্রকৃতি বাঁচায় দেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধন ও বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ প্রণয়ন করেছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে আইনটি যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।

সারাবিশ্বে বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, দ্রুত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস, নির্বিচারে বন্যপ্রাণী পাচার ও নিধনের ফলে অনেক প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। পরিবেশ, প্রতিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রাখতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানাই।

আমি বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’