দুবাইয়ে আইসিসির সভা থেকে ফিরে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠছে বাংলাদেশ। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিসিবি প্রধানের এমন সুখবরে আনন্দে মেতে উঠেছিল টাইগারপ্রেমীরা। হাথুরুসিংহের শিষ্যদের এমন উন্নতির খবর দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টারগুলো ফলাও করে প্রচার করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটপাগল মানুষের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। কারণ, আইসিসি জানিয়েছে, র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পাঁচে নয়, সাতেই থাকছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, আইসিসির প্রধান মিডিয়া কর্মকর্তা সামিউল হাসান একটি মেইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে বিবেচনায় নেওয়া হয় সবশেষ তিন মৌসুমের পারফরম্যান্স। আগামী হালনাগাদের সময় তাই বিবেচনায় নেওয়া হবে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের পারফরম্যান্স। এই ক্ষেত্রে প্রথম দুই মৌসুমের ফলাফলের পয়েন্টের ৫০ শতাংশ বিবেচনায় নেওয়া হবে আর ২০১৫-১৬ মৌসুমের নেওয়া হবে শতভাগ। সেই হিসাবে হালনাগাদের পর আগামী ০২ মে যে র্যাংকিং প্রকাশ করা হবে, সেখানে বাংলাদেশ এখনকার মতোই সাত নম্বরেই থাকবে। কারণ, ২০১৩-১৪ মৌসুমে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স পরের দুই মৌসুমের মতো ভালো ছিল না।
দুবাইয়ে আইসিসি সভায় বিসিবি প্রধানকে পঞ্চম স্থান বলে যেটি জানানো হয়েছে, সেটি বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান। আগেই জানানো হয়েছে, স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ আগামী ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আরো সাতটি দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে।