গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অধীনে দ্বিতীয় দফার জিম্মি মুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হামাস চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। ৪৭৭ দিন ধরে জিম্মি থাকা এই নারীরা হলেন— লিরি আলবাগ (১৯), দানিয়েলা গিলবোয়া (২০), কারিনা আরিয়েভ (২০) এবং নামা লেভি (২০)।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
এই চারজন সেই সাতজন নারী সেনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, যারা ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের হামলায় নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে অপহৃত হয়েছিলেন। এর আগে অপহৃতদের মধ্যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, এবং অপর একজনকে হত্যার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
তবে পাঁচজন অপহৃত নারী সেনার মধ্যে আগাম বার্গার (২১) এখনও মুক্তির তালিকায় নেই।
টাইমস অব ইসরাইলের দাবি, এই মুক্তির তালিকা যুদ্ধবিরতির শর্ত আংশিক লঙ্ঘন করছে, যেখানে প্রথমে নারী বেসামরিক বন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছিল, এরপর নারী সেনারা, তারপর বৃদ্ধ এবং গুরুতর অসুস্থ বন্দিদের মুক্তির কথা উল্লেখ ছিল। যদিও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ, এই শর্ত লঙ্ঘনকে বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছে না এবং বন্দিদের গ্রহণে সম্মতি দিয়েছে।
এছাড়া, মুক্তির জন্য নির্ধারিত ৩৩ জন বন্দির তালিকায় থাকা দুই নারী বেসামরিক বন্দির মধ্যে একজন, আরবেল ইহুদ (২৯), এখনো মুক্তি পাননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হামাস-সমর্থিত ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের কাছে বন্দি রয়েছেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে তাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তবে সেই চুক্তি ভেস্তে যায়। ইসরাইল আশা করেছিল এবার তাকে মুক্তি দেওয়া হবে, কিন্তু হামাসের শুক্রবার প্রকাশিত তালিকায় তার নাম নেই।
মুক্তি তালিকায় থাকা অপর নারী জিম্মি শিরি সিলবারম্যান বিবাস (৩৩)। তার দুই সন্তান আরিয়েল ও কফির, এবং তার স্বামী ইয়ারডেনও মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৩ জন বন্দির তালিকায় রয়েছেন।
এই বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া গাজা যুদ্ধবিরতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা আরও বড় পরিসরে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।