ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন। ‘উইন্ডরাশ জেনারেশন’ কেলেঙ্কারিতে আগে থেকেই চাপের মধ্যে থাকা রাড আজ সোমবার হাউজ অব কমন্সে এ বিষয়ে বিবৃতি দেবেন বলে কথা রয়েছে। খবর বিবিসির।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাডের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার বিষয়ে সরকারি কমিটিকে ‘অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত’ করেছেন।

গেলো ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর (১৯৭৩ সালের আগে) যুক্তরাজ্যে আসা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই ন্যূনতম ফি’র বিনিময়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন আম্বার রাড।

রাড অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি কমিটিকে জানান, এ বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান ছিল না। যদিও ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে রাড বলেছিলেন, ‘অভিবাসন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে’।

ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোট রাডের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই সংকটের স্থপতি’ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। অ্যাবোট বলেন, ‘গেলো সপ্তাহে আম্বার রাড পার্লামেন্ট ও জনগণকে ভুল তথ্য দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অবগত ছিলেন কিনা’ সেটি হাউজ অব কমন্সের সামনে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

অব্যাহত চাপের মুখে রোববার সন্ধ্যায় রাড প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে টেলিফোন করে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আম্বার রাডের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ‘অত্যন্ত দুঃখিত’ যে এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হচ্ছে। সে যা অর্জন করেছে সেটি নিয়ে তার ‘গর্ব করা উচিত’। সোমবার সকালেই রাডের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন। ‘উইন্ডরাশ জেনারেশন’ কেলেঙ্কারিতে আগে থেকেই চাপের মধ্যে থাকা রাড আজ সোমবার হাউজ অব কমন্সে এ বিষয়ে বিবৃতি দেবেন বলে কথা রয়েছে। খবর বিবিসির।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাডের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার বিষয়ে সরকারি কমিটিকে ‘অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত’ করেছেন।

গেলো ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর (১৯৭৩ সালের আগে) যুক্তরাজ্যে আসা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই ন্যূনতম ফি’র বিনিময়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন আম্বার রাড।

রাড অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি কমিটিকে জানান, এ বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান ছিল না। যদিও ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে রাড বলেছিলেন, ‘অভিবাসন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে’।

ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোট রাডের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই সংকটের স্থপতি’ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। অ্যাবোট বলেন, ‘গেলো সপ্তাহে আম্বার রাড পার্লামেন্ট ও জনগণকে ভুল তথ্য দেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অবগত ছিলেন কিনা’ সেটি হাউজ অব কমন্সের সামনে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

অব্যাহত চাপের মুখে রোববার সন্ধ্যায় রাড প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে টেলিফোন করে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আম্বার রাডের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ‘অত্যন্ত দুঃখিত’ যে এ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হচ্ছে। সে যা অর্জন করেছে সেটি নিয়ে তার ‘গর্ব করা উচিত’। সোমবার সকালেই রাডের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করা হবে।