ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃথিবীর বরফ গলা পর্যবেক্ষণে নতুন স্যাটেলাইট

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মহাকাশে পাঠাচ্ছে এমন এক অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট, যা পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে জমাট বরফ গলে যাওয়ার বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করবে।

নতুন এই স্যাটেলাইটের নাম দ্য আইস, ক্লাউড অ্যান্ড ল্যান্ড ইলাভেশন স্যাটেলাইট ২ (আইস স্যাট-২)। এই স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে থাকা বরফ, বিশেষ করে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার  জমাট বাঁধা বরফের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। স্যাটেলাইটে থাকা ইক্যুইপমেন্ট প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার ছবি তুলবে বরফ আচ্ছাদিত ওসব এলাকার।

নাসা প্রথমবারের মতো এ ধরনের গবেষণা চালাতে যাচ্ছে। আইস স্যাট-২ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা যাবে, কিভাবে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে সমুদ্রের পানি বাড়িয়ে তুলছে। পৃথিবীর বরফ আচ্ছাদিত এলাকাগুলোতে কিভাবে বরফ গলে যাচ্ছে, তা জানতে এটি বড় ধরনের এক প্রযুক্তিগত সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

স্যাটেলাইটটিতে থাকা অ্যাডভান্সড টপোগ্রাফিক লেজার অলটিমিটার সিস্টেম বা অ্যাটলাস এর মাধ্যমে বরফ গলে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। অ্যাটলাস নামের লেজার ইক্যুইপমেন্টটি বরফ আচ্ছাদিত এলাকার উচ্চতার পরিবর্তন জানতে প্রতি সেকেন্ডে ১০ হাজার বার আলোকরশ্মি পাঠাবে। খুব অল্প সময়েই আইস স্যাট-২ স্যাটেলাইট থেকে লেজার রশ্মির ফোটন কণা পৃথিবীতে এসে আবারো ফিরে যাবে ওই স্যাটেলাইটে। আর যে সময়টায় লেজার রশ্মি পৃথিবীর মেরু এলাকায় ঘুরে বেড়াবে, সে সময়ে ওই এলাকার উচ্চতার পরিবর্তন হলো কি না, তা জেনে যাবে স্যাটেলাইটটি।

গবেষকরা সমুদ্রের ঢেউ, পৃথিবীর জলাশয়, বনাঞ্চল ও শহুরে এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করে সেসবের উচ্চতা পরিবর্তন হচ্ছে কি না, তাও জানতে পারবেন। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে নতুন এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে নাসা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

পৃথিবীর বরফ গলা পর্যবেক্ষণে নতুন স্যাটেলাইট

আপডেট টাইম : ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবার মহাকাশে পাঠাচ্ছে এমন এক অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট, যা পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে জমাট বরফ গলে যাওয়ার বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করবে।

নতুন এই স্যাটেলাইটের নাম দ্য আইস, ক্লাউড অ্যান্ড ল্যান্ড ইলাভেশন স্যাটেলাইট ২ (আইস স্যাট-২)। এই স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে থাকা বরফ, বিশেষ করে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার  জমাট বাঁধা বরফের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। স্যাটেলাইটে থাকা ইক্যুইপমেন্ট প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার ছবি তুলবে বরফ আচ্ছাদিত ওসব এলাকার।

নাসা প্রথমবারের মতো এ ধরনের গবেষণা চালাতে যাচ্ছে। আইস স্যাট-২ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা যাবে, কিভাবে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে সমুদ্রের পানি বাড়িয়ে তুলছে। পৃথিবীর বরফ আচ্ছাদিত এলাকাগুলোতে কিভাবে বরফ গলে যাচ্ছে, তা জানতে এটি বড় ধরনের এক প্রযুক্তিগত সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

স্যাটেলাইটটিতে থাকা অ্যাডভান্সড টপোগ্রাফিক লেজার অলটিমিটার সিস্টেম বা অ্যাটলাস এর মাধ্যমে বরফ গলে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। অ্যাটলাস নামের লেজার ইক্যুইপমেন্টটি বরফ আচ্ছাদিত এলাকার উচ্চতার পরিবর্তন জানতে প্রতি সেকেন্ডে ১০ হাজার বার আলোকরশ্মি পাঠাবে। খুব অল্প সময়েই আইস স্যাট-২ স্যাটেলাইট থেকে লেজার রশ্মির ফোটন কণা পৃথিবীতে এসে আবারো ফিরে যাবে ওই স্যাটেলাইটে। আর যে সময়টায় লেজার রশ্মি পৃথিবীর মেরু এলাকায় ঘুরে বেড়াবে, সে সময়ে ওই এলাকার উচ্চতার পরিবর্তন হলো কি না, তা জেনে যাবে স্যাটেলাইটটি।

গবেষকরা সমুদ্রের ঢেউ, পৃথিবীর জলাশয়, বনাঞ্চল ও শহুরে এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করে সেসবের উচ্চতা পরিবর্তন হচ্ছে কি না, তাও জানতে পারবেন। সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে নতুন এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাবে নাসা।