বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে মোবাইল সিম নিবন্ধন। চলতি মাস থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। নতুন পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য কাগজের ফরম পূরণ করার প্রয়োজন পড়বে না। সিম বিক্রেতারা ডিজিটাল উপায়ে সিম ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করে রাখবেন। মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছে, এ পদ্ধতিতে গ্রাহকের জন্য সিম নিবন্ধন সহজ হবে। সিম কেনার জন্য ছবি বা বাড়তি কোনো কাগজ লাগবে না।
তবে চারটি বিষয় গ্রাহককে নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো হচ্ছে-এনআইডি নম্বর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, জন্ম তারিখ ও বর্তমান ঠিকানা। অপারেটররা জানিয়েছে, সঠিক তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র রাখলে গ্রাহকের জন্য সুবিধা হবে। এর আগে বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সারা দেশে ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করেছে তারা।
মোবাইল ব্যবহারকারীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে সিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের কাগজ ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ায় সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আরো সহজে ও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও এর মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবে। বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, বাংলালিংক সরকারের ইলেকট্রনিক ও কাগজবিহীন সিম রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
এই উদ্যোগ মোবাইল গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আরো সহজ করবে ও গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেহেতু এই উদ্যোগের ফলে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার প্রয়োজন হবে না, সেহেতু এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবেশবান্ধব উদ্যোগও বটে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে এটি এক বিরাট অগ্রগতি।
তিনি বলেন, দেশের ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংক সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠানো নির্মাণে ভবিষ্যতেও অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে চায় বাংলালিংক। গত ২৮শে আগস্ট বিটিআরসি থেকে টেলিকম অপারেটরদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়, সুষ্ঠুভাবে গ্রাহক পরিচয় নিবন্ধনের জন্য মোবাইল অপারেটরদের সার্চ করার সুবিধাযুক্ত ইলেকট্রনিক টেলিকম সাবসক্রাইবার অ্যাকুজিশন ফরমে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাগজের ফরম থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করার কথা বলা হয়।