বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ হেডফোনে গান শোনা কিংবা ভিডিও দেখা বর্তমান জেনারেশনের অন্যতব হবি। তবে গান শোনারও ধরন আছে। কেউ গান শোনেন নিছকই মন ভাল করতে। সুর-তাল-লয় নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান না। আবার কেউ গান শোনার ব্যাপারে বেশ খুঁতখুঁতে।
শিল্পীর কন্ঠস্বর থেকে মিউজিকের চড়াই-উতরাই, সবটাই একেবারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তাই হেডফোন ব্যবহারেরও ধরন আলাদা আলাদা। কেউ ফুটপাথে বিক্রি হওয়া ২০-৩০ টাকার হেডফোনেই খুশি। কারও আবার হেডফোনের দাম হাজার ছাড়িয়ে যায়। তবে যত বড়ই সিরসম্রাজ্ঞী হোন না কেন, নতুন এই হেডফোনের দাম শুনলে বুকে একটু ধাক্কা লাগবে বৈকি!
HiFiMan Electronics নামে এক সংস্থা তৈরি করেছে Shangri-La Electrostatic Headphone System. উচ্চ প্রযুক্তির এবং দামি হার্ডওয়্যার তৈরির ক্ষেত্রে এই সংস্থার বেশ সুনাম রয়েছে। সংস্থাটির জিনিসপত্র কিনতে পছন্দ করেন অনেকেই। ২০০৭ সালে ফাং বিয়ান এই সংস্থা তৈরি করেন। তাঁর তৈরি বিশেষ ন্যানো টেকনোলজিতে এই সংস্থা বিভিন্ন ধরনের অসাধারণ প্রোডাক্ট বাজারে আনেন। এই হেডফোনও সেরকমই একটি প্রোডাক্ট।
এই হেডফোনে ব্যবহার করা হয় একটা আল্ট্রা-থিন ডায়াফ্রাম। দুটি প্যানেলের মাঝে থাকছে সেই ডায়াফ্রাম। সেটি টানলেই সাউন্ড শোনা যাবে। সাধারণত ডায়াফ্রামগুলি য়েক মাইক্রোমিটার মোটা হয়। এটির থিকনেস ০.১ মাইক্রোমিটার। এতটাই পাতলা যে পাশের দিক থেকে প্রায়ই দেখাই যাবে না। কোনও বাধা ছাড়াই সাউন্ড ওয়েভ এগিয়ে যাবে, এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রোডাক্টটি তৈরি করতে বছর দশেক সময় লেগেছে। গত বছরে ভারতীয় বাজারে এসেছে এটি। যদি আপনিও একটি দামি হেডফোনের বিষয়ে উত্সাহী হয়ে থাকেন, তাহলে জেনে নিন এটির দাম ৩৫,৯৯,৯০০ টাকা। তবে একধাক্কায় অত খরচ না করলেও চলবে। মাসে মাসে ইএমআই দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে। মাসে পড়বে ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৫৩৩ টাকা করে।