বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রযুক্তিতে ভরসা রেখে রোবটিক রেস্টুরেন্ট বানালো নেপাল। দেশীয় প্রযুক্তিতে এমন রেস্টুরেন্ট দক্ষিণ এশিয়াতেও এর আগে কেউ বানাতে পারেনি। ভারতের চেন্নাইয়ের একটি রেস্টুরেন্টে রোবট ওয়েটার থাকলেও সেটি ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নয়। দক্ষিণ এশিয়ায় নেপালই প্রথম দেশ যারা নিজেদের প্রযুক্তিতে এই রোবট বানিয়েছে।
নেপালের ওই রেস্টুরেন্টের নাম নাওলো। নাওলো শব্দের অর্থ নতুন। মাত্র পাঁচটি রোবট দিয়ে চালানো হচ্ছে এই রেস্টুরেন্ট। এদের তিন জনের নাম জিঞ্জার এবং দু’জনের নাম ফেরি। এখানে প্রযুক্তির সঙ্গে মিলেমিশে চলে খাবার পরিবেশন।
এই রেস্টুরেন্টের ব্লু প্রিন্ট বানিয়েছে পাইলা টেকনোলজি নামে এক সংস্থা। মাত্র ৬ জন ইঞ্জিনিয়ার মিলে এই পুরো রোবটিক রেস্টুরেন্টটি বানিয়েছেন। শুধু খাবার পরিবেশনের কাজেই যে ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে তা নয়। রেস্টুরেন্টের প্রতিটি কোণেই প্রযুক্তির ছাপ স্পষ্ট।
প্রতিটি টেবিলে আলাদা করে ডিজিটাল স্ক্রিনের মেনুর অপশন রয়েছে। অনেকটা মোবাইলের টাচ স্ক্রিনের মতো সেই অপশন থেকে নিজের পছন্দের খাবার বেছে নেয়া যায়। জায়গায় বসে সুইচ টিপলেই সরাসরি অর্ডার চলে যাবে রান্নাঘরে। খাবার তৈরি হয়ে গেলে রান্নাঘর থেকে আপনার টেবিলে তা পৌঁছে দিয়ে যাবে রোবট।
তবে ফেরিদের থেকে জিঞ্জাররা একটু বেশি স্মার্ট। মানুষের কথা বুঝতে পারে জিঞ্জাররা। এরা এতটাই বুদ্ধিমান যে, সাধারণ অনেক প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারবে। এমনকি আপনি যদি তাকে কোনও ধাঁধা জিজ্ঞেস করেন, সেটারও ঠিক উত্তরটা দিয়ে দেবে জিঞ্জার। রোবর্টগুলো নেপালি এবং ইংরেজি, এই দুই ভাষাতেই তারা সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। নেপালে বেড়াতে গেলে অন্তত একবার কাঠমান্ডুর এই রেস্টুরেন্টে ঘুরে আসতেই পারেন।