অনেক ফুল আছে যেগুলোর নাম অনেকের অজানা। তেমনি একটি ফুলের নাম বাটারকাপ। এর কিছু প্রজাতি বাংলাদেশে দেখা যায়।
বাটারকাপ (Buttercup) ফুল সাধারণত বসন্ত ঋতুতেই ফোটে। কিন্তু অঞ্চল ও আবহাওয়া ভেদে এই ফুল গ্রীষ্মকালেও দেখা যায়। বাটারকাপ ফুলের প্রজাতিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বেশি দেখা যায় লিটল-লিফ বাটারকাপ (Little-leaf Buttercup). এর বৈজ্ঞানিক নাম রানুনকুলাস এবরটিভাস (Ranunculus abortivus).
বাটারকাপ ফুলগাছ রানুনকুলাসি (Ranunculaceae) পরিবারভুক্ত। খর্বাকৃতির এই গাছের প্রায় ছয়শ প্রজাতি রয়েছে। বাটারকাপ বা রানুনকুলাস ফুলের একটি জাত হলো গ্লসিয়ার বাটারকাপ (Glacier Buttercup). এর বৈজ্ঞানিক নাম রানুনকুলাস গ্লাসিয়ালিস (Ranunculus glacialis). আরো একটি প্রজাতি হলো পার্সিয়ান বাটারকাপ (Persian Buttercup)। এর বৈজ্ঞানিক নাম রানুনকুলাস এশিয়াটিকাস (Ranunculus asiaticus). বেশিরভাগ প্রজাতির বাটারকাপ উদ্ভিদ গুল্মজাতীয়। কিছু আছে একবর্ষজীবী, কিছু দ্বিবর্ষজীবী ও বহুবর্ষজীবী। এটি জল ও স্থল উভয় স্থানে জন্মায় । কিছু বহুবর্ষজীবী প্রজাতির গাছে শিকড় থেকে চারা জন্মায়। এটি ঝোঁপালো গাছ এবং একটি সুস্থ সবল গাছে প্রচুর পরিমানে ফুল ধরে।
এর ফুল উভলিঙ্গ এবং বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ছোট প্রজাতির গাছগুলোর মধ্যে সাদা , হলুদ, লাল এবং নীল রঙের ফুল দেখা গেলেও সবচেয়ে বেশি দেখা যায় হলুদ ফুল।
পার্সিয়ান বাটারকাপ ফুল দেখতে গোলাপের মতো হলেও এটি গোলাপ নয় । এর আদিনিবাস দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ (ক্রিট, করপথোস ও রোডস) এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। বুনোফুল হলেও সৌন্দর্য্যের কারণে এটি সৌখীন মানুষদের বাগানে উঠে এসেছে।
শোভাবর্ধনকারী ফুল হিসেবে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় । উদ্যানতত্ত্ববিদরা এর বেশ কিছু নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এসব জাত বা কাল্টিভারের (Cultiver) মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্লুমিংডেল, পিকোটি, পট ডোয়র্ফ ও সুপারবিসিমা।