ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতকালীন ফুল ডালিয়া

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ডালিয়া কন্দ জাতীয় শীতকালীন মৌসুমি ফুল। শীতকালীন মৌসুমি ফুলের মধ্যে অসাধারণ রূপ বৈচিত্র ও মনোরম ফুল ডালিয়া। পরিবার Compositae, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Dahlia Variabilis।

সুইডেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী গোস্তাব ডাল মেক্সিকোর বনাঞ্চলে সর্বপ্রথম ডালিয়া ফুলের সন্ধান পান, তাই তিনি নিজের নামের সাথে মিল রেখে এ ফুলের নাম রাখেন ডালিয়া।

মন মাতানো বাহারি রং ও আকার-আকৃতি এ ফুলের কদর বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। তাছাড়া প্রতিনিয়ত এ ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পুস্প বিজ্ঞানীগণ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বর্তমানে বিভিন্ন জাতের ডালিয়া ফুল চাষ হচ্ছে।

গাছের উচ্চতা গড়ে ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত হয়। কা- ফাঁপা, শাখা-প্রশাখা বিদ্যমান, পাতা সবুজ, বড়, কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা থাকে, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট।

গাছের কাণ্ডের অগ্রভাগ হতে প্রথমে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং নীচের শাখা-প্রশাখার ফুল পরবর্তী সময়ে ফোটে।

গাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা রসালো নরম মানের। ফুটন্ত ফুল প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন স্থায়ী থাকে।

আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয়ে অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত সময়ে ডালিয়া ফুলের কন্দ চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। টবে বা সরাসরি মাটিতে এ ফুল চাষ করা যায়।

চারা রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর গাছে ফুল ফোটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল, সুনিস্কাশিত উর্বর দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটি এ ফুলের জন্য উত্তম। ছায়া ও স্যাঁতসেঁতে মাটি ডালিয়ার জন্য অনুপযোগী। মাটিতে রসের অভাব হলে প্রয়োজনে সেচ দিতে হয়।

কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হয়। তাছাড়া শাখা কাটিং এর মাধ্যমে এর চারা তৈরি করা যায়।

বর্ণ বৈচিত্র্য ও রূপলাবণ্যে জনপ্রিয় ডালিয়া ফুল পুষ্পসজ্জা ও উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সমাদৃত হবার পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে বাসা-বাড়ি বাগান, ছাদ বাগান, অফিস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, পার্ক ও উদ্যানে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতকালীন ফুল ডালিয়া

আপডেট টাইম : ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ডালিয়া কন্দ জাতীয় শীতকালীন মৌসুমি ফুল। শীতকালীন মৌসুমি ফুলের মধ্যে অসাধারণ রূপ বৈচিত্র ও মনোরম ফুল ডালিয়া। পরিবার Compositae, উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম Dahlia Variabilis।

সুইডেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী গোস্তাব ডাল মেক্সিকোর বনাঞ্চলে সর্বপ্রথম ডালিয়া ফুলের সন্ধান পান, তাই তিনি নিজের নামের সাথে মিল রেখে এ ফুলের নাম রাখেন ডালিয়া।

মন মাতানো বাহারি রং ও আকার-আকৃতি এ ফুলের কদর বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। তাছাড়া প্রতিনিয়ত এ ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পুস্প বিজ্ঞানীগণ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বর্তমানে বিভিন্ন জাতের ডালিয়া ফুল চাষ হচ্ছে।

গাছের উচ্চতা গড়ে ২ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত হয়। কা- ফাঁপা, শাখা-প্রশাখা বিদ্যমান, পাতা সবুজ, বড়, কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা থাকে, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট।

গাছের কাণ্ডের অগ্রভাগ হতে প্রথমে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং নীচের শাখা-প্রশাখার ফুল পরবর্তী সময়ে ফোটে।

গাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা রসালো নরম মানের। ফুটন্ত ফুল প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন স্থায়ী থাকে।

আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয়ে অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত সময়ে ডালিয়া ফুলের কন্দ চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। টবে বা সরাসরি মাটিতে এ ফুল চাষ করা যায়।

চারা রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর গাছে ফুল ফোটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল, সুনিস্কাশিত উর্বর দো-আঁশ থেকে বেলে দো-আঁশ মাটি এ ফুলের জন্য উত্তম। ছায়া ও স্যাঁতসেঁতে মাটি ডালিয়ার জন্য অনুপযোগী। মাটিতে রসের অভাব হলে প্রয়োজনে সেচ দিতে হয়।

কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা হয়। তাছাড়া শাখা কাটিং এর মাধ্যমে এর চারা তৈরি করা যায়।

বর্ণ বৈচিত্র্য ও রূপলাবণ্যে জনপ্রিয় ডালিয়া ফুল পুষ্পসজ্জা ও উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সমাদৃত হবার পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে বাসা-বাড়ি বাগান, ছাদ বাগান, অফিস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, পার্ক ও উদ্যানে।