ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী যমজ শিশুর জন্মহার বাড়ছে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিগত কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী যমজ শিশুর জন্মহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সংখ্যাটা বাৎসরিক প্রায় ১.৬ মিলিয়ন। আর প্রতি ৪২ জন নবজাতকের মধ্যে একটি করে যমজ। সম্প্রতি মানব প্রজনন জার্নালের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি নিউজ।

গবেষকরা বলছেন, সন্তান জন্মদানে বিলম্ব এবং আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে ১৯৮০ সালের পর থেকে যমজ শিশুর জন্মহার বেড়েই চলেছে। এ হার সবচেয়ে বেশি উত্তর আমেরিকায়। সেখানে গত ৩০ বছরে যমজ শিশুর জন্মহার ৭১ শতাংশ বেড়েছে। এশিয়া মহাদেশে এ সংখ্যাটা ৩২ শতাংশ।
জরিপের জন্য ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মোট ১৬৫টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এরপর সেগুলোকে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের হারের সঙ্গে মিলিয়েছেন।

প্রতি হাজারে যমজ শিশুর জন্মহারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা। আর বাকি বিশ্বে প্রতি এক হাজার ডেলিভারির মধ্যে ৯-১২টি যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করে। তবে আফ্রিকা মহাদেশে আগে থেকেই এ সংখ্যাটা অধিক। বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকা মিলে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ যমজ শিশু ডেলিভারি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে গবেষক দলের সদস্য ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান মন্ডেন বলেন, আফ্রিকায় যমজ শিশুর জন্মহার বেশি। কারণ, সেখানকার নারীদের দুটি ভিন্ন ডিম্বাণু থেকে শিশুদের জন্ম হয়। জিনগত এই বৈশিষ্টের কারণেই আফ্রিকা ও অন্যান্য বিশ্বের জনগণের মধ্যে এত পার্থক্য। তাছাড়া অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিকভাবেই এমনটা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন আইভিএফ, আইসিএসআই, কৃত্রিম প্রজনন এবং ডিম্বাশয়ের উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যমজ শিশুর জন্মগ্রহণ করানো হচ্ছে। মূল কারণ এটাই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিশ্বব্যাপী যমজ শিশুর জন্মহার বাড়ছে

আপডেট টাইম : ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিগত কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী যমজ শিশুর জন্মহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সংখ্যাটা বাৎসরিক প্রায় ১.৬ মিলিয়ন। আর প্রতি ৪২ জন নবজাতকের মধ্যে একটি করে যমজ। সম্প্রতি মানব প্রজনন জার্নালের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি নিউজ।

গবেষকরা বলছেন, সন্তান জন্মদানে বিলম্ব এবং আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির কারণে ১৯৮০ সালের পর থেকে যমজ শিশুর জন্মহার বেড়েই চলেছে। এ হার সবচেয়ে বেশি উত্তর আমেরিকায়। সেখানে গত ৩০ বছরে যমজ শিশুর জন্মহার ৭১ শতাংশ বেড়েছে। এশিয়া মহাদেশে এ সংখ্যাটা ৩২ শতাংশ।
জরিপের জন্য ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মোট ১৬৫টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এরপর সেগুলোকে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সালের হারের সঙ্গে মিলিয়েছেন।

প্রতি হাজারে যমজ শিশুর জন্মহারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা। আর বাকি বিশ্বে প্রতি এক হাজার ডেলিভারির মধ্যে ৯-১২টি যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করে। তবে আফ্রিকা মহাদেশে আগে থেকেই এ সংখ্যাটা অধিক। বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকা মিলে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ যমজ শিশু ডেলিভারি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে গবেষক দলের সদস্য ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান মন্ডেন বলেন, আফ্রিকায় যমজ শিশুর জন্মহার বেশি। কারণ, সেখানকার নারীদের দুটি ভিন্ন ডিম্বাণু থেকে শিশুদের জন্ম হয়। জিনগত এই বৈশিষ্টের কারণেই আফ্রিকা ও অন্যান্য বিশ্বের জনগণের মধ্যে এত পার্থক্য। তাছাড়া অঞ্চলটিতে প্রাকৃতিকভাবেই এমনটা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া অঞ্চলে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন আইভিএফ, আইসিএসআই, কৃত্রিম প্রজনন এবং ডিম্বাশয়ের উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যমজ শিশুর জন্মগ্রহণ করানো হচ্ছে। মূল কারণ এটাই।