ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল চৈত্র সংক্রান্তি ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শেষ দিন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আজ (১৩ এপ্রিল) বাংলা বছরের শেষ দিন অথাৎ আজ  চৈত্র সংক্রান্তি । গত বছরের মতো এই বারও কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা আর লকডাউনের ফাঁদেই শেষ হলো বাংলা বছরটি। আগামিকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। এর মাধ্যমে কাল থেকে শুরু হবে বাংলা সাল ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।

চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত যখন সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল। সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পুণ্যকর্ম বলে মনে করেন। তবে চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলো চড়ক। এর সঙ্গে চলে মেলা। কিন্তু করোনায় এবার তেমন কিছুই হচ্ছে না।

তারপরেও জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনাকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে গোটা জাতির। এজন্য আবহমানকাল থেকেই দিনটি পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে। তাই পুরোনো বছরকে ঘটা করে বিদায় জানানো যাচ্ছে না।

এরপরও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাচ্ছে বাঙালি জাতি। প্রত্যাশা করছে-বুধবার শুরু হওয়া নতুন বছর যেন সব ধরনের শঙ্কা, রোগ-শোক, অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত রাখে সবাইকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আগামীকাল চৈত্র সংক্রান্তি ১৪২৪ বঙ্গাব্দের শেষ দিন

আপডেট টাইম : ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আজ (১৩ এপ্রিল) বাংলা বছরের শেষ দিন অথাৎ আজ  চৈত্র সংক্রান্তি । গত বছরের মতো এই বারও কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা আর লকডাউনের ফাঁদেই শেষ হলো বাংলা বছরটি। আগামিকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। এর মাধ্যমে কাল থেকে শুরু হবে বাংলা সাল ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।

চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত যখন সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল। সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতিকে পুণ্যকর্ম বলে মনে করেন। তবে চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলো চড়ক। এর সঙ্গে চলে মেলা। কিন্তু করোনায় এবার তেমন কিছুই হচ্ছে না।

তারপরেও জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনাকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে গোটা জাতির। এজন্য আবহমানকাল থেকেই দিনটি পালন হয়ে আসছে। কিন্তু গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে। তাই পুরোনো বছরকে ঘটা করে বিদায় জানানো যাচ্ছে না।

এরপরও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাচ্ছে বাঙালি জাতি। প্রত্যাশা করছে-বুধবার শুরু হওয়া নতুন বছর যেন সব ধরনের শঙ্কা, রোগ-শোক, অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত রাখে সবাইকে।