ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করে আলোচনায় বাঙালি বিজ্ঞানী

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু। অথচ কী ভয়ংকর এর ক্ষমতা। এখন এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রকপ চালাছে ভারতে। সেখানকার মানুষ এই মহামারি থেকে বাঁচার জন্য অনেক কিছু করছে। তবে কোনো ভাবেই কমছে না। আর এই মহামারির কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হলো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া।

আর এই কথা মাথায় রেখে ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়। পকেট ভেন্টিলেটরটির ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। এটিকে ফুল চার্জ হলে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এটি চার্জ দেয়া যায় সাধারণ মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে। এই যন্ত্রটিতে দুটো অংশ রয়েছে। একটি পাওয়ার ইউনিট, অন্যটি মাউথ পিস। মাউথ পিসটি আদতে ভেন্টিলেটর ইউনিট।

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়

কয়েকদিন আগেই ওই ব্যক্তি এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়। তখন তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৮৮ শতাংশে। সেই পরিস্থিতিতে পরিবারের লোকজন বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে জোরাজুরি করেন। যদিও সে যাত্রা সুস্থ হয়ে যান। তবে ওই মুহূর্তে  মহামারিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্যে ভেন্টিলেটর কতটা প্রয়োজনীয় তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। এরপরই সুস্থ হয়ে কাজে লেগে পড়েন। সব জিনিসপত্র নিয়ে কাজে লেগে পড়ে। আর মাত্র ২০ দিনের মধ্যে তিনি একটি পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করে ফেলেন।

ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় নিজেই পরে পরীক্ষা করে দেখছেন

ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় নিজেই পরে পরীক্ষা করে দেখছেন

পকেট ভেন্টিলেটরটির সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বাতাস সংগ্রহ করে আল্ট্রাভায়োলেট চেম্বার দিয়ে যায় যা সমস্ত জীবাণু মেরে ফেলে। এরপর ভেতরের একটি মেশিনের সাহায্যে শুদ্ধ বাতাস প্রবেশের গতি বেড়ে যায়। রোগী নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে তাও ইউভি চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যায়। এমনকী কোভিড রোগীর ছাড়া নিঃশ্বাসে থাকা কোভিড ভাইরাসও মেরে ফেলে যন্ত্রটি। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। এই ভেন্টিলেটরটি হাসপাতালে ব্যবহৃত সিপিএপি বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার যন্ত্রের বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে বিশ্বাস ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের।

এভাবে চার্জ দেয়া হয় মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে

এভাবে চার্জ দেয়া হয় মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে

তিনি আরও বলেন, এই মহামারির কারণে মানুষ হাসপাতালে বিছানা কিংবা অক্সিজেন না পেয়ে মারা গেছে। তার ধারণা এগুলো মানুষের উপকারে আসবে। রামেন্দ্রলালের এ ধরনের প্রচুর আবিষ্কার রয়েছে। এর আগে ৩০টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের পকেটে। তবে কভিডকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারা এই আবিষ্কার হয়তো তার শ্রেষ্ঠ কাজ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করে আলোচনায় বাঙালি বিজ্ঞানী

আপডেট টাইম : ০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু। অথচ কী ভয়ংকর এর ক্ষমতা। এখন এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি প্রকপ চালাছে ভারতে। সেখানকার মানুষ এই মহামারি থেকে বাঁচার জন্য অনেক কিছু করছে। তবে কোনো ভাবেই কমছে না। আর এই মহামারির কারণে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হলো রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া।

আর এই কথা মাথায় রেখে ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়। পকেট ভেন্টিলেটরটির ওজন মাত্র ২৫০ গ্রাম। এটিকে ফুল চার্জ হলে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এটি চার্জ দেয়া যায় সাধারণ মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে। এই যন্ত্রটিতে দুটো অংশ রয়েছে। একটি পাওয়ার ইউনিট, অন্যটি মাউথ পিস। মাউথ পিসটি আদতে ভেন্টিলেটর ইউনিট।

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়

পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়

কয়েকদিন আগেই ওই ব্যক্তি এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়। তখন তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৮৮ শতাংশে। সেই পরিস্থিতিতে পরিবারের লোকজন বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে জোরাজুরি করেন। যদিও সে যাত্রা সুস্থ হয়ে যান। তবে ওই মুহূর্তে  মহামারিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্যে ভেন্টিলেটর কতটা প্রয়োজনীয় তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। এরপরই সুস্থ হয়ে কাজে লেগে পড়েন। সব জিনিসপত্র নিয়ে কাজে লেগে পড়ে। আর মাত্র ২০ দিনের মধ্যে তিনি একটি পকেট ভেন্টিলেটর তৈরি করে ফেলেন।

ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় নিজেই পরে পরীক্ষা করে দেখছেন

ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় নিজেই পরে পরীক্ষা করে দেখছেন

পকেট ভেন্টিলেটরটির সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বাতাস সংগ্রহ করে আল্ট্রাভায়োলেট চেম্বার দিয়ে যায় যা সমস্ত জীবাণু মেরে ফেলে। এরপর ভেতরের একটি মেশিনের সাহায্যে শুদ্ধ বাতাস প্রবেশের গতি বেড়ে যায়। রোগী নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে তাও ইউভি চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যায়। এমনকী কোভিড রোগীর ছাড়া নিঃশ্বাসে থাকা কোভিড ভাইরাসও মেরে ফেলে যন্ত্রটি। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়। এই ভেন্টিলেটরটি হাসপাতালে ব্যবহৃত সিপিএপি বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার যন্ত্রের বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে বিশ্বাস ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের।

এভাবে চার্জ দেয়া হয় মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে

এভাবে চার্জ দেয়া হয় মোবাইল চার্জারের মাধ্যমে

তিনি আরও বলেন, এই মহামারির কারণে মানুষ হাসপাতালে বিছানা কিংবা অক্সিজেন না পেয়ে মারা গেছে। তার ধারণা এগুলো মানুষের উপকারে আসবে। রামেন্দ্রলালের এ ধরনের প্রচুর আবিষ্কার রয়েছে। এর আগে ৩০টি আবিষ্কারের পেটেন্ট রয়েছে ড. রামেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায়ের পকেটে। তবে কভিডকালে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারা এই আবিষ্কার হয়তো তার শ্রেষ্ঠ কাজ।