ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে খাবেন বিটরুট

একটা সুস্থ জীবন পেতে গেলে যেমন সঠিক সময় সঠিক খাবার খেতে হয়, শরীর চর্চা করতে হয় তেমনি একটি পুষ্টিকর খাদ্যতালিকাও থাকতে হয়। আর পুষ্টিকর সেই তালিয়ায় যদি থাকে বিটরুট তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কী :

বিটরুট, বিট গাছের মূল এবং এটি এ্যামার‍্যান্থেসি পরিবারের অন্তর্গত। কাঁচা, রান্না অথবা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া যায় বিট। এর গাঢ় লাল রং আপনার শরীরের জন্য উপকারী। এটা শুধু আকর্ষণীয় চেহারা এবং রঙের জন্যেই নয়, রোগমুক্ত শরীর গড়ে তোলার জন্যও সুপারফুড হিসেবেও কাজ করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। বিটে আছে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি। বিটের বেশকিছু পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কী?

বিটরুট নাইট্রেটযুক্ত এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ সবজি। যা শরীরে রোগ ক্ষমতা বাড়ায়।

ক্যালরি ৪৩, চর্বি শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, চিনি ৭ গ্রাম, প্রোটিন ১ দশমিক ৬ গ্রাম, ফাইবার ২ দশমিক ৮ গ্রাম।

জেনে নিন বিটরুটের গুরুত্ব :

১. শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বিট।

২. ক্যানসারকেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে বিটে। বিট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।

৩. শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে বিটে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, অ্যানিমিয়া যা রক্তসল্পতা দূর করতে খুবই উপকারী।

৪. বিট আমাদের প্রাণশক্তি ও কাজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। দেহে অক্সিজেনের কার্যকর ব্যবহারে বিটের ভূমিকা আছে বলে দৌড়বিদ ও অন্য খেলোয়াড়েরা নিয়মিত বিট খেয়ে থাকেন।

বিটের আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। তবে এর গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে হলে যতটা সম্ভব কম সময় ধরে রান্না করতে হবে। কাঁচা খেলে এর গুণাগুণ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। এটি রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।

যেভাবে খাবেন বিটরুট : জুস করে খেতে পারেন, সেদ্ধ করে খেতে পারেন, কাঁচাও খেতে পারেন এবং বিট, কলা, মাখন, দিয়ে শেক করেও খেতে পারেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যে কারণে খাবেন বিটরুট

আপডেট টাইম : ০৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

একটা সুস্থ জীবন পেতে গেলে যেমন সঠিক সময় সঠিক খাবার খেতে হয়, শরীর চর্চা করতে হয় তেমনি একটি পুষ্টিকর খাদ্যতালিকাও থাকতে হয়। আর পুষ্টিকর সেই তালিয়ায় যদি থাকে বিটরুট তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কী :

বিটরুট, বিট গাছের মূল এবং এটি এ্যামার‍্যান্থেসি পরিবারের অন্তর্গত। কাঁচা, রান্না অথবা স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া যায় বিট। এর গাঢ় লাল রং আপনার শরীরের জন্য উপকারী। এটা শুধু আকর্ষণীয় চেহারা এবং রঙের জন্যেই নয়, রোগমুক্ত শরীর গড়ে তোলার জন্যও সুপারফুড হিসেবেও কাজ করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। বিটে আছে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি। বিটের বেশকিছু পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক। জেনে নেওয়া যাক বিটরুট কী?

বিটরুট নাইট্রেটযুক্ত এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ সবজি। যা শরীরে রোগ ক্ষমতা বাড়ায়।

ক্যালরি ৪৩, চর্বি শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, চিনি ৭ গ্রাম, প্রোটিন ১ দশমিক ৬ গ্রাম, ফাইবার ২ দশমিক ৮ গ্রাম।

জেনে নিন বিটরুটের গুরুত্ব :

১. শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বিট।

২. ক্যানসারকেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আছে বিটে। বিট শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়।

৩. শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে বিটে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, অ্যানিমিয়া যা রক্তসল্পতা দূর করতে খুবই উপকারী।

৪. বিট আমাদের প্রাণশক্তি ও কাজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। দেহে অক্সিজেনের কার্যকর ব্যবহারে বিটের ভূমিকা আছে বলে দৌড়বিদ ও অন্য খেলোয়াড়েরা নিয়মিত বিট খেয়ে থাকেন।

বিটের আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। তবে এর গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে হলে যতটা সম্ভব কম সময় ধরে রান্না করতে হবে। কাঁচা খেলে এর গুণাগুণ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। এটি রক্তের লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।

যেভাবে খাবেন বিটরুট : জুস করে খেতে পারেন, সেদ্ধ করে খেতে পারেন, কাঁচাও খেতে পারেন এবং বিট, কলা, মাখন, দিয়ে শেক করেও খেতে পারেন।