ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু দিনদিন ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে? যা করবেন

রক্তশূন্যতার উপসর্গ নিয়ে যখন কোনো শিশুকে আনা হয় তখন যেসব রোগে শিশু আক্রান্ত হতে পারে বলে প্রথমে ধারণা জন্মে—

আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা : যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বক্রকৃমি সংক্রমণ।

থ্যালাসেমিয়া : বংশগত রোগ

অ্যাপ্লাসটিক অ্যানিমিয়া : রক্তকোষ উৎপাদনে বাধা

কিডনির দীর্ঘমেয়াদি অসুখ : ক্রোনিক রেনাল ফেইলিওর

তীব্র ব্লাড ক্যান্সার : এএলএল

এদের মধ্যে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায় বেশ ভোগে এ দেশের শিশুরা। শিশুর রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি তার বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাভাবিক মানের নিচে থাকে, তবে সে রক্তস্বল্পতায় ভুগছে বলা যায়। এক বছর বয়স থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত সাধারণভাবে শিশুর হিমোগ্লোবিন ১১ গ্রাম/ডেসি লিটারের নিচে থাকা রক্তস্বল্পতার নির্দেশক।

শিশুর আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ

–   অপরিণতভাবে জম্ম নেওয়া, শিশু লো বার্থওয়েট (জন্ম ওজন দুই হাজার ৫০০ গ্রাম বা তার নিচে)

–   বক্রকৃমি সংক্রমণ

–   দীর্ঘদিন ধরে শুধু বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া

–   ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার না খাওয়ানো

রোগচিত্র

–   কোনো উপসর্গ প্রথমদিকে না-ও থাকতে পারে

–   শিশুকে ফ্যাকাসে দেখায়

–   ক্লান্তিভাব

–   খাবারে রুচি নেই

–   শিশু ছাই, কয়লা, কাদামাটি—এসব অ-খাবার খেয়ে ফেলে

–   বুদ্ধি কম

–   মানসিক বিকাশে পিছিয়ে

–   আয়রনজনিত সমস্যা

–   শিশুর মাঝেমধ্যে শ্বাসরোধ উপসর্গ (ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক)

–   বারবার শ্বাসে শাঁইশাঁই শব্দ শোনা যায়

ল্যাব পরীক্ষা : সিবিসি, পিবিএফ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, রক্তকণিকার নানা তথ্য বিশ্লেষণ, সিরাম আয়রন ও ফেরিটিন মাত্রা কমে যাওয়া, টিআইবিসি মান বেড়ে যাওয়া।

মলে রক্ত : যদি বক্রকৃমি সংক্রমণ হয়

ব্যবস্থাপনা

–   শিশুকে সবুজ শাকসবজি, লিভার, আনাজ কলা—এসব খাদ্য বেশি খাওয়ানো।

–   বিশেষজ্ঞ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী শিশুকে আয়রন সিরাপ বা ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

–   কম জন্ম ওজনের শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান এবং ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে তিন মাসের জন্য আয়রন ওষুধ সেবন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শিশু দিনদিন ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে? যা করবেন

আপডেট টাইম : ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
রক্তশূন্যতার উপসর্গ নিয়ে যখন কোনো শিশুকে আনা হয় তখন যেসব রোগে শিশু আক্রান্ত হতে পারে বলে প্রথমে ধারণা জন্মে—

আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা : যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বক্রকৃমি সংক্রমণ।

থ্যালাসেমিয়া : বংশগত রোগ

অ্যাপ্লাসটিক অ্যানিমিয়া : রক্তকোষ উৎপাদনে বাধা

কিডনির দীর্ঘমেয়াদি অসুখ : ক্রোনিক রেনাল ফেইলিওর

তীব্র ব্লাড ক্যান্সার : এএলএল

এদের মধ্যে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায় বেশ ভোগে এ দেশের শিশুরা। শিশুর রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি তার বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাভাবিক মানের নিচে থাকে, তবে সে রক্তস্বল্পতায় ভুগছে বলা যায়। এক বছর বয়স থেকে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত সাধারণভাবে শিশুর হিমোগ্লোবিন ১১ গ্রাম/ডেসি লিটারের নিচে থাকা রক্তস্বল্পতার নির্দেশক।

শিশুর আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ

–   অপরিণতভাবে জম্ম নেওয়া, শিশু লো বার্থওয়েট (জন্ম ওজন দুই হাজার ৫০০ গ্রাম বা তার নিচে)

–   বক্রকৃমি সংক্রমণ

–   দীর্ঘদিন ধরে শুধু বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া

–   ছয় মাস বয়স থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার না খাওয়ানো

রোগচিত্র

–   কোনো উপসর্গ প্রথমদিকে না-ও থাকতে পারে

–   শিশুকে ফ্যাকাসে দেখায়

–   ক্লান্তিভাব

–   খাবারে রুচি নেই

–   শিশু ছাই, কয়লা, কাদামাটি—এসব অ-খাবার খেয়ে ফেলে

–   বুদ্ধি কম

–   মানসিক বিকাশে পিছিয়ে

–   আয়রনজনিত সমস্যা

–   শিশুর মাঝেমধ্যে শ্বাসরোধ উপসর্গ (ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক)

–   বারবার শ্বাসে শাঁইশাঁই শব্দ শোনা যায়

ল্যাব পরীক্ষা : সিবিসি, পিবিএফ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, রক্তকণিকার নানা তথ্য বিশ্লেষণ, সিরাম আয়রন ও ফেরিটিন মাত্রা কমে যাওয়া, টিআইবিসি মান বেড়ে যাওয়া।

মলে রক্ত : যদি বক্রকৃমি সংক্রমণ হয়

ব্যবস্থাপনা

–   শিশুকে সবুজ শাকসবজি, লিভার, আনাজ কলা—এসব খাদ্য বেশি খাওয়ানো।

–   বিশেষজ্ঞ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী শিশুকে আয়রন সিরাপ বা ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।

–   কম জন্ম ওজনের শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান এবং ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে তিন মাসের জন্য আয়রন ওষুধ সেবন।