ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাতা নাকি রেইনকোট

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এখন বর্ষা ঋতু। এর মানে ঘুরেফিরে আসছে বর্ষণমুখর দিন। কড়া রোদের মধ্যে কখন বৃষ্টি নেমে আসে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি এই সময়ের প্রকৃতিই এটা। তাই ছাতা না নিয়ে বের হলে ঝক্কিতে পড়তে হবে। আর ছাতার ঝামেলা যারা এড়াতে চান, আবার কেতাদুরস্ত থাকতে চান, তাদের জন্য রয়েছে রেইনকোট। হালে ছাতায়ও কিন্তু নানা বাহার থাকছে। তবে ছাতা কিংবা রেইনকোট কোনো একটা বর্ষাতি আপনার লাগবেই।

রকমারি নকশা

ছাতা কোনোটি লম্বা হাতলের, কোনোটি ছোট হাতলের। আছে গোল ছাতা, চার কোনা আকারের ছাতা। কোনোটি একরঙা, কোনোটি ছাপা। কোনোটির নিচে জুড়ে দেওয়া আছে লম্বা লেইস। ভাঁজ করে সহজেই ব্যাগে নেওয়া যায়। তবে ভাঁজ করা ‘টু ফোল্ড’, ‘থ্রি ফোল্ড’ এবং লম্বা শিকের বড় ছাতাগুলো অনেক পরিচিত। আকারে ছোট হওয়ার কারণে থ্রি ফোল্ডের ছাতার চাহিদা মেয়েদের কাছে বেশি। টু ফোল্ডের ছাতাগুলো বেশি কেনে ছেলেরা। কলম ছাতা, চীন ও জাপানের ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের ছাতা। শিশুদের উপযোগী নানা ছাতাও আছে বাজারে। এর কোনোটির ওপর খাড়া শিং, কোনোটিতে বাঁশি, কোনোটিতে আছে ঝুনঝুনি আবার ফুল, কার্টুন ইত্যাদি নকশা করা লম্বা স্টিকের ছাতা রয়েছে। এগুলোর হাতে ধরার অংশটুকু বাঁকানো। তবে শিশুদের ছাতার আকার সাধারণত বড়দের চেয়ে খানিকটা ছোট হয়।

রেইনকোট দুই ধরনের হয়। ‘লং রেইনকোট’ এবং ‘টু পিস রেইনকোট’। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা লং রেইনকোটগুলো আকারভেদে শিশু ও মেয়েরাই বেশি কেনেন। আর টু পিস রেইনকোটগুলো কেনেন ছেলেরা। সব কটির সঙ্গেই টুপি থাকে। বৃষ্টিতে ছাতার চেয়ে রেইনকোট বেশি কার্যকর। শিশুদের ক্ষেত্রেও ঝুম বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের হামলা সামলে পথ চলতে কষ্ট হয়। রেইনকোট সে ক্ষেত্রে বিশেষ ভরসা হতে পারে। মাথার হুডিসহ নানা রং ও কার্টুনে আঁকা শিশুদের রেইনকোট ক্ল্যাসিক, জুম, হোন্ডা, প্লে¬বয়, অ্যাডিডাস বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। আবার প্লাস্টিকের রেইনকোটও পাওয়া যায়। একরঙা, ফুলের নকশা অথবা স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, মিকিমাউসসহ বিভিন্ন কার্টুনের নকশা করা বর্ষাতি বেশ জনপ্রিয়। শিশুদের জন্য ফোল্ডিং হুড ও নরমাল হুড দুই ধরনের রেইনকোট পাওয়া যায়। রেইনকোটগুলোর কাপড়ের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। সিঙ্গল পার্ট ও ডাবল পার্টের রেইনকোট পাওয়া যায়। ডাবল পার্ট রেইনকোটের দুই পাশই ব্যবহার করা যায়।

কাদের ছাতা কিনবেন

বাংলাদেশে ছাতার ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে শংকর, অ্যাটলাস, সারোয়ার, ফিলিপস, তোফায়েল, বাজারে নওয়াব, শরীফ, এপেক্স, আলম, রহমান। লাল, নীল, পেস্ট, গোলাপি, পার্পেল প্রভৃতি রঙের ছাতা পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। একরঙা ছাতার পাশাপাশি স্ট্রাইপ ছাতারও কদর রয়েছে বর্তমানে। এর বেশির ভাগই চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। তবে ছাতা কেনার সময় শিকগুলো মজবুত কি না এবং ছাতার কাপড়ের গুণগত মান দেখে নিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যাটলাস, রিভেরি, পজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ছাতার চাহিদা বেশি। রেইনকোটের ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে ডার্বিসুপার, কমফোর্ট, ব্রিদেবল, রেড চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি।

দেখভাল পর্ব

রেইনকোট ও ছাতা যত্ন করে রাখতে হবে। তা না হলে এগুলো খুললেই উৎকট গন্ধ ছড়াবে, আর ছত্রাকের আক্রমণ অথবা স্যাঁতসেঁতে ভাব হতে পারে। তাই বৃষ্টির সময় বাইরে থেকে ফিরেই এগুলো শুকিয়ে যত্নে তুলে রাখতে হবে।

মোটরসাইকেল আরোহীরা দীর্ঘ ঝুলের কিংবা শার্ট-প্যান্টের আকারে আলাদা রেইনকোট ব্যবহার করতে পারেন। আবার অপেক্ষাকৃত কম ঝুলের বর্ষাতিও ব্যবহার করেন অনেকে। বাইরে থেকে এসে ভেজা বর্ষাতি স্তূপ করে না রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। পানি ঝরে গেলে মুছে ভাঁজ করে রাখতে হবে। আবার চাইলে কয়েক দিন অন্তর কম ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো হয়। তবে ভালোভাবে ধুয়ে অবশ্যই পানি ঝরিয়ে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে তুলে রাখতে হবে। চাইলে পাউডার দিয়ে রাখলে আর্দ্রতার কারণে ঘামলেও ভেজা ভাবটা থাকে না।

আর ছাতা যেহেতু কয়েক ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি হয় তাই এর যত্ন নেওয়াটা জরুরি। যদি সিনথেটিক কাপড় দিয়ে তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে ভেজা ছাতা কিছু সময় মেলে রেখে পানি ঝরিয়ে নিলেই চলে। তবে তুলে রাখতে হলে ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে রাখলে ভালো থাকে। ছাতার কাপড় সুতি হলে কেবল পানি ঝরালেই হবে না, কাপড়টা ভালোভাবে শুকাতে হবে। ভেজা অবস্থায় রেখে দিলে সুতি কাপড়ে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। ব্যবহারের পর ভেজা ছাতা খুলে রাখতে হবে যেন শুকিয়ে যায়। শুকানোর পর অবশ্যই ছাতার কাপড়ের ভাঁজ অনুযায়ী ভাঁজ করতে হবে। আর বেঁধে রাখার সময় বেশি চেপে বাঁধা উচিত নয়। এতে কাপড় ছিঁড়ে যেতে পারে।

খরচের আলাপ

রেইনকোটের দাম নির্ভর করে কাপড়ের মান এবং কাপড়ের নিচে কটি পরত আছে তার উপর। ছেলেদের টু পিস রেইনকোটগুলো পাওয়া যাবে সাতশ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। শিশুদের রেইনকোটের দাম তিনশ থেকে এক হাজার টাকা। থ্রি ফোল্ড ছাতাগুলোর দাম পড়বে আড়াইশ থেকে পাঁচশ টাকা, টু ফোল্ডের ছাতাগুলোর দাম তিনশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা, কলম ছাতার দাম সাড়ে তিনশ টাকা, চীনা ও জাপানি ডিজাইনের ছাতাগুলো পাওয়া যাবে পাঁচশ টাকায়, আর আমাদের দেশীয় বড় ছাতার দাম পড়বে সাতশ টাকা। মেয়েদের রেইনকোটের দাম পড়বে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা। মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য বিশেষ বর্ষাতির দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা। অ্যাটলাসের তৈরি বর্ষাতির দাম পড়বে ছোটটি ৩০০ থেকে ৪৫০ আর বড়দের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। শিশুদের একটু ভালো মানের ছাতার দাম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। কমদামি চাইলে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। আর সাধারণ মানের বর্ষাতির দাম ১৫০ টাকা থেকে শুরু। একটু ভালো মানের বর্ষাতি ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।

বিপণি বারতা

রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই কমবেশি ছাতা ও রেইনকোট পাওয়া যায়। তবে নিউমার্কেট, নবাবপুর রোড, পলওয়েল মার্কেট, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, ফার্মগেট সুপার মার্কেট, পুরান ঢাকার ইসলামপুর, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, বঙ্গবাজার, সিদ্দিকবাজার, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানেই মিলবে বর্ষা ঠেকানোর প্রয়োজনীয় সব অনুষঙ্গ। ক্রেতাদের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এখন ফুটপাতেও কমবেশি ছাতা বিক্রি হতে দেখা যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ছাতা নাকি রেইনকোট

আপডেট টাইম : ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এখন বর্ষা ঋতু। এর মানে ঘুরেফিরে আসছে বর্ষণমুখর দিন। কড়া রোদের মধ্যে কখন বৃষ্টি নেমে আসে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি এই সময়ের প্রকৃতিই এটা। তাই ছাতা না নিয়ে বের হলে ঝক্কিতে পড়তে হবে। আর ছাতার ঝামেলা যারা এড়াতে চান, আবার কেতাদুরস্ত থাকতে চান, তাদের জন্য রয়েছে রেইনকোট। হালে ছাতায়ও কিন্তু নানা বাহার থাকছে। তবে ছাতা কিংবা রেইনকোট কোনো একটা বর্ষাতি আপনার লাগবেই।

রকমারি নকশা

ছাতা কোনোটি লম্বা হাতলের, কোনোটি ছোট হাতলের। আছে গোল ছাতা, চার কোনা আকারের ছাতা। কোনোটি একরঙা, কোনোটি ছাপা। কোনোটির নিচে জুড়ে দেওয়া আছে লম্বা লেইস। ভাঁজ করে সহজেই ব্যাগে নেওয়া যায়। তবে ভাঁজ করা ‘টু ফোল্ড’, ‘থ্রি ফোল্ড’ এবং লম্বা শিকের বড় ছাতাগুলো অনেক পরিচিত। আকারে ছোট হওয়ার কারণে থ্রি ফোল্ডের ছাতার চাহিদা মেয়েদের কাছে বেশি। টু ফোল্ডের ছাতাগুলো বেশি কেনে ছেলেরা। কলম ছাতা, চীন ও জাপানের ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের ছাতা। শিশুদের উপযোগী নানা ছাতাও আছে বাজারে। এর কোনোটির ওপর খাড়া শিং, কোনোটিতে বাঁশি, কোনোটিতে আছে ঝুনঝুনি আবার ফুল, কার্টুন ইত্যাদি নকশা করা লম্বা স্টিকের ছাতা রয়েছে। এগুলোর হাতে ধরার অংশটুকু বাঁকানো। তবে শিশুদের ছাতার আকার সাধারণত বড়দের চেয়ে খানিকটা ছোট হয়।

রেইনকোট দুই ধরনের হয়। ‘লং রেইনকোট’ এবং ‘টু পিস রেইনকোট’। হাঁটু পর্যন্ত লম্বা লং রেইনকোটগুলো আকারভেদে শিশু ও মেয়েরাই বেশি কেনেন। আর টু পিস রেইনকোটগুলো কেনেন ছেলেরা। সব কটির সঙ্গেই টুপি থাকে। বৃষ্টিতে ছাতার চেয়ে রেইনকোট বেশি কার্যকর। শিশুদের ক্ষেত্রেও ঝুম বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসের হামলা সামলে পথ চলতে কষ্ট হয়। রেইনকোট সে ক্ষেত্রে বিশেষ ভরসা হতে পারে। মাথার হুডিসহ নানা রং ও কার্টুনে আঁকা শিশুদের রেইনকোট ক্ল্যাসিক, জুম, হোন্ডা, প্লে¬বয়, অ্যাডিডাস বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। আবার প্লাস্টিকের রেইনকোটও পাওয়া যায়। একরঙা, ফুলের নকশা অথবা স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, মিকিমাউসসহ বিভিন্ন কার্টুনের নকশা করা বর্ষাতি বেশ জনপ্রিয়। শিশুদের জন্য ফোল্ডিং হুড ও নরমাল হুড দুই ধরনের রেইনকোট পাওয়া যায়। রেইনকোটগুলোর কাপড়ের মধ্যেও ভিন্নতা রয়েছে। সিঙ্গল পার্ট ও ডাবল পার্টের রেইনকোট পাওয়া যায়। ডাবল পার্ট রেইনকোটের দুই পাশই ব্যবহার করা যায়।

কাদের ছাতা কিনবেন

বাংলাদেশে ছাতার ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে শংকর, অ্যাটলাস, সারোয়ার, ফিলিপস, তোফায়েল, বাজারে নওয়াব, শরীফ, এপেক্স, আলম, রহমান। লাল, নীল, পেস্ট, গোলাপি, পার্পেল প্রভৃতি রঙের ছাতা পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। একরঙা ছাতার পাশাপাশি স্ট্রাইপ ছাতারও কদর রয়েছে বর্তমানে। এর বেশির ভাগই চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। তবে ছাতা কেনার সময় শিকগুলো মজবুত কি না এবং ছাতার কাপড়ের গুণগত মান দেখে নিতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে অ্যাটলাস, রিভেরি, পজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ছাতার চাহিদা বেশি। রেইনকোটের ব্র্যান্ডের মধ্যে আছে ডার্বিসুপার, কমফোর্ট, ব্রিদেবল, রেড চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি।

দেখভাল পর্ব

রেইনকোট ও ছাতা যত্ন করে রাখতে হবে। তা না হলে এগুলো খুললেই উৎকট গন্ধ ছড়াবে, আর ছত্রাকের আক্রমণ অথবা স্যাঁতসেঁতে ভাব হতে পারে। তাই বৃষ্টির সময় বাইরে থেকে ফিরেই এগুলো শুকিয়ে যত্নে তুলে রাখতে হবে।

মোটরসাইকেল আরোহীরা দীর্ঘ ঝুলের কিংবা শার্ট-প্যান্টের আকারে আলাদা রেইনকোট ব্যবহার করতে পারেন। আবার অপেক্ষাকৃত কম ঝুলের বর্ষাতিও ব্যবহার করেন অনেকে। বাইরে থেকে এসে ভেজা বর্ষাতি স্তূপ করে না রেখে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। পানি ঝরে গেলে মুছে ভাঁজ করে রাখতে হবে। আবার চাইলে কয়েক দিন অন্তর কম ক্ষারযুক্ত ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো হয়। তবে ভালোভাবে ধুয়ে অবশ্যই পানি ঝরিয়ে সুতি কাপড় দিয়ে মুছে তুলে রাখতে হবে। চাইলে পাউডার দিয়ে রাখলে আর্দ্রতার কারণে ঘামলেও ভেজা ভাবটা থাকে না।

আর ছাতা যেহেতু কয়েক ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি হয় তাই এর যত্ন নেওয়াটা জরুরি। যদি সিনথেটিক কাপড় দিয়ে তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে ভেজা ছাতা কিছু সময় মেলে রেখে পানি ঝরিয়ে নিলেই চলে। তবে তুলে রাখতে হলে ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে রাখলে ভালো থাকে। ছাতার কাপড় সুতি হলে কেবল পানি ঝরালেই হবে না, কাপড়টা ভালোভাবে শুকাতে হবে। ভেজা অবস্থায় রেখে দিলে সুতি কাপড়ে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। ব্যবহারের পর ভেজা ছাতা খুলে রাখতে হবে যেন শুকিয়ে যায়। শুকানোর পর অবশ্যই ছাতার কাপড়ের ভাঁজ অনুযায়ী ভাঁজ করতে হবে। আর বেঁধে রাখার সময় বেশি চেপে বাঁধা উচিত নয়। এতে কাপড় ছিঁড়ে যেতে পারে।

খরচের আলাপ

রেইনকোটের দাম নির্ভর করে কাপড়ের মান এবং কাপড়ের নিচে কটি পরত আছে তার উপর। ছেলেদের টু পিস রেইনকোটগুলো পাওয়া যাবে সাতশ থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। শিশুদের রেইনকোটের দাম তিনশ থেকে এক হাজার টাকা। থ্রি ফোল্ড ছাতাগুলোর দাম পড়বে আড়াইশ থেকে পাঁচশ টাকা, টু ফোল্ডের ছাতাগুলোর দাম তিনশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকা, কলম ছাতার দাম সাড়ে তিনশ টাকা, চীনা ও জাপানি ডিজাইনের ছাতাগুলো পাওয়া যাবে পাঁচশ টাকায়, আর আমাদের দেশীয় বড় ছাতার দাম পড়বে সাতশ টাকা। মেয়েদের রেইনকোটের দাম পড়বে পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা। মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য বিশেষ বর্ষাতির দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা। অ্যাটলাসের তৈরি বর্ষাতির দাম পড়বে ছোটটি ৩০০ থেকে ৪৫০ আর বড়দের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। শিশুদের একটু ভালো মানের ছাতার দাম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। কমদামি চাইলে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। আর সাধারণ মানের বর্ষাতির দাম ১৫০ টাকা থেকে শুরু। একটু ভালো মানের বর্ষাতি ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।

বিপণি বারতা

রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই কমবেশি ছাতা ও রেইনকোট পাওয়া যায়। তবে নিউমার্কেট, নবাবপুর রোড, পলওয়েল মার্কেট, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট, গুলশান ডিসিসি মার্কেট, ফার্মগেট সুপার মার্কেট, পুরান ঢাকার ইসলামপুর, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, বঙ্গবাজার, সিদ্দিকবাজার, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, রাজধানী সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানেই মিলবে বর্ষা ঠেকানোর প্রয়োজনীয় সব অনুষঙ্গ। ক্রেতাদের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এখন ফুটপাতেও কমবেশি ছাতা বিক্রি হতে দেখা যায়।