ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আঙুলের নখ কামড়ানোর ক্ষতি ভয়াবহ

এই বদ অভ্যাসটা অনেকেরই আছে। কাজ ছাড়া বসে থাকলে এমনিতে আঙুল মুখে নিয়ে কামড়াতে থাকে। এটা দেখে অনেকেই তা ছাড়তে বলে। কিন্তু তবুও এই বদঅভ্যাসটা কেউ কেউ ছাড়তে পারেন না।  কিন্তু এই বদঅভ্যাসটির যে ভয়াবহ ক্ষতি তা জানলে নিশ্চিতভাবে ছাড়তে হবে।
প্রথমবারের মতো এক বিদেশি পত্রিকা জানালো এই বদঅভ্যাসটার পোশাকি নাম ডার্মাটোফেজিয়া। কী এই ডার্মাটোফেজিয়া? বিদেশই ওই পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণত উদ্বেগ থেকে এই দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চার পাশের চামড়া কাটার বদঅভ্যাস তৈরি হয়। খুব ছোট বয়স থেকেই। সেটাকেই চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হচ্ছে ডার্মাটোফেজিয়া। তা, দীর্ঘদিন যদি এই অভ্যেস বজায় থাকে, তাহলে কী হয়?
সেখানেই আসল সমস্যা! কী হয়, জানলে আঁতকে উঠবেন। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে নখ এবং চার পাশের চামড়া কাটতে কাটতে এক সময়ে নেল বেড নষ্ট হয়ে যায়। মানে, নখের নিচে যে নরম চামড়ার আস্তরণ থাকে, তা আর তৈরি হয় না। নখ তখন বসে যেতে থাকে ত্বকের গভীরে। ব্যাপারটা কতটা ব্যথাদায়ক, বুঝতে পারছেন আশা করি!
এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে কামড়ে আঙুলের মাথার কাছটা বেশ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি, মুখের লালা থেকেও হতে পারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।
সে রকম হলে? আঙুল কেটে বাদ দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। তাই, উদ্বেগকে প্রশমিত করতে শেখাই বরং ভালো হবে! খামোখা অঙ্গহানি কে বা চান!

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আঙুলের নখ কামড়ানোর ক্ষতি ভয়াবহ

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬

এই বদ অভ্যাসটা অনেকেরই আছে। কাজ ছাড়া বসে থাকলে এমনিতে আঙুল মুখে নিয়ে কামড়াতে থাকে। এটা দেখে অনেকেই তা ছাড়তে বলে। কিন্তু তবুও এই বদঅভ্যাসটা কেউ কেউ ছাড়তে পারেন না।  কিন্তু এই বদঅভ্যাসটির যে ভয়াবহ ক্ষতি তা জানলে নিশ্চিতভাবে ছাড়তে হবে।
প্রথমবারের মতো এক বিদেশি পত্রিকা জানালো এই বদঅভ্যাসটার পোশাকি নাম ডার্মাটোফেজিয়া। কী এই ডার্মাটোফেজিয়া? বিদেশই ওই পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী, সাধারণত উদ্বেগ থেকে এই দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা আঙুলের চার পাশের চামড়া কাটার বদঅভ্যাস তৈরি হয়। খুব ছোট বয়স থেকেই। সেটাকেই চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হচ্ছে ডার্মাটোফেজিয়া। তা, দীর্ঘদিন যদি এই অভ্যেস বজায় থাকে, তাহলে কী হয়?
সেখানেই আসল সমস্যা! কী হয়, জানলে আঁতকে উঠবেন। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে নখ এবং চার পাশের চামড়া কাটতে কাটতে এক সময়ে নেল বেড নষ্ট হয়ে যায়। মানে, নখের নিচে যে নরম চামড়ার আস্তরণ থাকে, তা আর তৈরি হয় না। নখ তখন বসে যেতে থাকে ত্বকের গভীরে। ব্যাপারটা কতটা ব্যথাদায়ক, বুঝতে পারছেন আশা করি!
এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে কামড়ে আঙুলের মাথার কাছটা বেশ ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি, মুখের লালা থেকেও হতে পারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।
সে রকম হলে? আঙুল কেটে বাদ দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। তাই, উদ্বেগকে প্রশমিত করতে শেখাই বরং ভালো হবে! খামোখা অঙ্গহানি কে বা চান!