বাঙালি কণ্ঠ নিউজঃ মানুষ মানুষের জন্য’ বাংলা গানের কিংবদন্তির শিল্পী ভূপেন হাজারিকার গানটির এখনও তুমুল জনপ্রিয়। কেউবা বা কথাটি ব্যবহার করছেন অসহায়ের সহায় হতে। আবার এমন লোকের সংখ্যাও নগণ্য নয়, যারা অসহায়ের সেবার নামে প্রতারণা করছে।
তবে যাই হোক না কেন, মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ আজও রয়েছে।
আর্তমানবতার সেবার ব্রত নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে পথ চলছে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ চার বছরের পথ চলায় রয়েছে দারুণ সফলতা। বর্তমানে দুই শতাধিক সক্রিয় সদস্য রয়েছে সংগঠনটির। সদস্যদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর নিয়মিত রক্তদান।
স্বাধীনতাত্তর বাংলাদেশে নিরক্ষরতাই বড় অভিশাপ। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে প্রচেষ্টার প্রথম পদক্ষেপ পথশিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বেলে দেয়া। রাজধানীর কমলাপুর ও তেজগাঁও এবং বেগুনবাড়িতে দুটি স্কুল স্থাপন করে ১৭০ জন পথশিশুকে পড়াশোনা শেখাচ্ছে।
সংখ্যার দিক থেকে ১৭০ জন কম মনে হলেও, ১৭০ জোড়া হাত শিক্ষার আলো পেলে অদূর ভবিষ্যতে এই হাতগুলোই হতে পারে স্বনির্ভর। এমনটাই আশা করছেন প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সমন্বয়কারী শরিফ আহমেদ ভূঁইয়া।
দেশের একটি বড় সংখ্যক জনগোষ্ঠী অর্ধাহার ও অনাহারে জীবনযাপন করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিন আয়োজিত হচ্ছে নানা বিলাশবহুল অনুষ্ঠান। অনেক সময় খাবার বেঁচে যায়। এই বেঁচে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার না খেতে পাওয়া মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রচেষ্টার আর একটি পদক্ষেপ ‘ফুট ব্যাংকিং’। জন্মদিন, বিয়ে, বউভাত থেকে শুরু করে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রায়শই খাবার বেঁচে যায়। এই অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে প্রচেষ্টার ভলেন্টিয়াররা। তাৎক্ষণিকভাবে এই খাবার বিতরণ করা হয় রাজধানীর ফুটপাতে বসবাসকারী ও ছিন্নমূল মামুষের মাঝে।
এ যাবৎ ৮৬টি ফুড ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংগঠনটি। প্রতিটি কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির। এছাড়া প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে নিয়মিত কৃতজ্ঞতা জানান, হয় সেসকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে, যারা তাদের অতিরিক্ত খাবার প্রচেষ্টার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চায় না খেতে পাওয়া মানুষের কাছে।
আর্তমানবতার সেবায় বার বার দেখা গেছে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক দলকে। বন্যার্তদের মাঝে খাবার-পানি পৌঁছে দেয়া, বান্দরবানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার মত অনেক কাজের সাক্ষী প্রচেষ্টার স্বেচ্ছাসেবক দল।