ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাছের চাহিদা বোঝে যন্ত্র

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গাছের কতটা আলো, পানি ও পুষ্টির প্রয়োজন- কিছু স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া তা দেখিয়ে দেয়। এক রোবট সিস্টেম নির্দিষ্ট চারাগাছের স্থানান্তর, পরিমাপ ও এক্সরে করে। কোন গাছের মধ্যে উৎপাদনশীলতার কতটা সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে, এভাবে তা চিহ্নিত করা যায়। ড. আন্দ্রেয়াস ম্যুলার এ বিষয়ে বলেন, এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যা দিয়ে গাছপালা ও তাদের ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়। অর্থাৎ গোটা বিশ্বে বিজ্ঞানীরা বিশেষ কৌশল বা প্রযুক্তির সাহায্যে সেই গাছ আদর্শ করে তুলতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমরা তার প্রভাব খতিয়ে দেখতে পারি। সেই প্রভাবই চাওয়া হয়েছিল কিনা, বুঝতে পারি। ঠিকমতো পুষ্টি পেলে গাছপালা বেড়ে ওঠে। গবেষকরা হাইটেক রোবট কাজে লাগিয়ে আদর্শ পরিবেশ নির্ধারণ করতে পারেন। কোন গাছের ঠিক কতটা পানি, সার ও আলোর প্রয়োজন- সিস্টেম তা শিখে নিতে পারে। ক্যামেরার মাধ্যমে রোবট মালি গাছ পর্যবেক্ষণ করে, গাছের বৃদ্ধি নথিভুক্ত করে এবং সেই গাছের আদর্শ চাহিদা স্থির করে। রোবট তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এত কিছু শিখে ফেলেছে, এখন সে তার স্রষ্টাকেই টেক্কা দিতে পারে। সে বিশেষজ্ঞদের তুলনায় গাছের আরও ভালো দেখাশোনা করতে পারে। এখন ওই গবেষকরাই তার কাছে শিক্ষা নিচ্ছেন। কারণ তার প্রতিভার ফলে প্রায় ১২ শতাংশ উন্নত বেশি শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। মানুষের চিকিৎসার মতো গাছপালার ক্ষেত্রেও রেজোনেন্স টোমোগ্রাফি একেবারে নতুন জ্ঞান তুলে ধরছে। জীবন্ত গাছ কীভাবে পানি ও পুষ্টি গ্রহণ করছে, তা সরাসরি দেখা যাচ্ছে। গবেষকরা শুধু পাতার মধ্যে নয়, মাটির নিচে গাছের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও দেখতে চান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গাছের চাহিদা বোঝে যন্ত্র

আপডেট টাইম : ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ গাছের কতটা আলো, পানি ও পুষ্টির প্রয়োজন- কিছু স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া তা দেখিয়ে দেয়। এক রোবট সিস্টেম নির্দিষ্ট চারাগাছের স্থানান্তর, পরিমাপ ও এক্সরে করে। কোন গাছের মধ্যে উৎপাদনশীলতার কতটা সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে, এভাবে তা চিহ্নিত করা যায়। ড. আন্দ্রেয়াস ম্যুলার এ বিষয়ে বলেন, এমন প্রযুক্তি রয়েছে, যা দিয়ে গাছপালা ও তাদের ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়। অর্থাৎ গোটা বিশ্বে বিজ্ঞানীরা বিশেষ কৌশল বা প্রযুক্তির সাহায্যে সেই গাছ আদর্শ করে তুলতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমরা তার প্রভাব খতিয়ে দেখতে পারি। সেই প্রভাবই চাওয়া হয়েছিল কিনা, বুঝতে পারি। ঠিকমতো পুষ্টি পেলে গাছপালা বেড়ে ওঠে। গবেষকরা হাইটেক রোবট কাজে লাগিয়ে আদর্শ পরিবেশ নির্ধারণ করতে পারেন। কোন গাছের ঠিক কতটা পানি, সার ও আলোর প্রয়োজন- সিস্টেম তা শিখে নিতে পারে। ক্যামেরার মাধ্যমে রোবট মালি গাছ পর্যবেক্ষণ করে, গাছের বৃদ্ধি নথিভুক্ত করে এবং সেই গাছের আদর্শ চাহিদা স্থির করে। রোবট তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এত কিছু শিখে ফেলেছে, এখন সে তার স্রষ্টাকেই টেক্কা দিতে পারে। সে বিশেষজ্ঞদের তুলনায় গাছের আরও ভালো দেখাশোনা করতে পারে। এখন ওই গবেষকরাই তার কাছে শিক্ষা নিচ্ছেন। কারণ তার প্রতিভার ফলে প্রায় ১২ শতাংশ উন্নত বেশি শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। মানুষের চিকিৎসার মতো গাছপালার ক্ষেত্রেও রেজোনেন্স টোমোগ্রাফি একেবারে নতুন জ্ঞান তুলে ধরছে। জীবন্ত গাছ কীভাবে পানি ও পুষ্টি গ্রহণ করছে, তা সরাসরি দেখা যাচ্ছে। গবেষকরা শুধু পাতার মধ্যে নয়, মাটির নিচে গাছের বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও দেখতে চান।