বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমাদের আশপাশে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর সাপ দেখা যায়। বাড়ির আশপাশের ডোবা, বন জঙ্গলে এমনি মানুষের বসিত ঘরেও সাপ বাস করে।
সাপ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। দিনের বেলায় গর্তে বসে থাকে সাপ। আর রাতের বেলায় খাবারের সন্ধানে বের হয়। বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করে সাপ।
যদিও সাপ বলতে আমরা ভাবি বিষ। কিন্তু বিষহীন ঢোঁড়া সাপও কম নেই৷ কিন্তু সবচেয়ে বিষধর সাপ কোনটি? সবচেয়ে বড় সাপ? সবচেয়ে ছোট সাপ? জেনে নিন এখান থেকে-
সবচেয়ে বিষধর সাপ
অস্ট্রেলিয়ার ইনল্যান্ড টাইপান নামের সাপটির এক ছোবলে নাকি ১০০ মানুষ মারার মতো বিষ আছে৷ সেই বিষ একইসাথে স্নায়ু, রক্ত ও মাংসপেশির উপর কাজ করে৷ সেমি-অ্যারিড বা কম বৃষ্টিপাতের এলাকায় টাইপানদের প্রকোপ বেশি৷
সবচেয়ে বড় সাপ
সবুজ আনাকোন্ডা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ৷ দক্ষিণ আমেরিকার গভীর জঙ্গলে জলে-ডোবায় দেখা যায়৷ প্রায় নয় মিটার বা ২৯ ফুট লম্বা আনাকোন্ডারও খবর পাওয়া গিয়েছে, যদিও সাধারণ আনাকোন্ডা চার মিটারের বেশি লম্বা হয় না৷
সবচেয়ে ছোট সাপ
বার্বাডোসের থ্রেডন্সেক বা সুতো-সাপ মাত্র ১০ সেন্টিমিটার লম্বা, আর চাইনিজ খাবারের নুডলের চেয়ে বেশি মোটা নয়৷ সুতো-সাপ উঁইপোকা আর পিঁপড়ের ডিম খেয়ে বাঁচে৷ তাকে দেখতে পাওয়া যায় শুধুমাত্র ক্যারিবিয়ানের বার্বাডোজ দ্বীপে, যেখানে সবে ২০০৮ সালে তাকে প্রথম আবিষ্কার করা হয়৷
সবচেয়ে বড় হাঁ
সাপের নিচের চোয়ালটা ওপরের চোয়াল থেকে আলাদা বলে নিজের দ্বিগুণ সাইজের জন্তুজানোয়ারও আস্ত গলাধঃকরণ করতে পারে৷ কিন্তু ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস ন্যাশনাল পার্কে একটি পাইথন একটি আস্ত কুমির গেলার চেষ্টা করতে গিয়ে পেট ফেটে মরেছিল৷ সাপটিকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন কুমিরের ল্যাজ তার পেট ফুটো করে বেরিয়ে রয়েছে৷
গা–ঢাকা দিতে পারে যে সাপ
তার নাম গাবুন ভাইপার, থাকে আফ্রিকার জঙ্গলে৷ মাথার কাছে নকশাটা এমন যে, দেখলে মনে হবে যেন একটা ঝরা পাতা পড়ে রয়েছে৷ ভয়ঙ্কর বিষধর এই সাপটির বিষদাঁত অন্য যে কোনো সাপের চেয়ে লম্বা, পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো৷ ভাগ্য ভালো, গাবুন ভাইপার খুব রগচটা নয়, তাই এই সাপ খুব কম মানুষকে কামড়ায়৷
লং জাম্প চ্যাম্পিয়ন
ক্রিসোপেলিয়া গোত্রীয় এই উড়ন্ত সাপ এক গাছ থেকে আরেক গাছ অবধি লাফ দিতে পারে – দরকার হলে ৩০ মিটার! উড়ন্ত সাপ টিকটিকি, ইঁদুর ইত্যাদি ধরে খায় – আবার ছোট ছোট পাখি, এমনকি বাদুড় পেলেও ছাড়ে না৷
প্রায় সাপের কামড়ে প্রাণ হারায় মানুষ। যদিও বর্তমানে সাপের বিষ নিষ্কিয় করার আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে।