সবাই মিলে যেনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি এই বার্তাটিই দিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ত্যাগ করার পর মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও দেশবাসীকে বলেছেন যে, ‘তারা যেন আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আল্লাহর কাছে এই দোয়া চাই দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আমরা বারবার বলেছি, বিদেশে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পাঁচ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন মিথ্যা মামলা থেকে। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি।’
বিএনপি চেয়াপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি উড্ডয়ন করে।
এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন সফরের উদ্দেশে মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আগে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বাসা থেকে রওনা হয় গাড়িবহর।