বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ অনেকেরই হয়তো বয়স বেড়ে যাওয়ার পরও হৃদয়টা তরুণ থেকে যায়। ফলে তারা তাদের শারীরিক তারুণ্যও ধরে রাখতে চান। তাদের জন্যই রইল এমন কিছু খাবারের তালিকা যেগুলো ভিটামিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। স্থিতিস্থাপকতাও বাড়ায়। ফলে আপনার বয়স বাড়লেও বুড়িয়ে যাওয়ার অনুভূতি খুব বেশি একটা হবে না। এখানে রইল এমন ২৫টি খাবারের তালিকা যেগুলো নিয়মিত খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব।
১. গ্রিন টি
এতে আছে শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড। এটি হাঁটুর জন্য খুবই উপকারী। এবং তরুণাস্থির যেকোনো ক্ষয় রোধ করে। এ ছাড়া এর রয়েছে বিস্তর বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধী উপকারিতা।
২. আঙুর
আঙুরে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টও অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। এতে আরো আছে রেজভেরাট্রোল। বিশেষত লাল আঙুরে এই উপাদানটি বেশি থাকে। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৩. ডার্ক চকলেট
চকলেটা থাকা কোকোয়া বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেল থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
৪. আখরোট
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আখরোটে আছে কপার। যা চুলকে আরো স্বাস্থ্যবান ও শক্তিশালী করে। এতে আরো আছে ভিটামিন ই।
৫. আনারস
ব্রোমালেইন এর মতো এনজাইমে সমৃদ্ধ আনারস ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী। এটি ব্রণ দূর করে এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
৬. টমেটো
টমেটোতে থাকা ক্যারোটিনয়েড ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের তামাটে ভাব দূর করে।
৭.অ্যাভোকাডো
ত্বককে কোমল ও নমনীয় করে অ্যাভোকাডো। এতে থাকা ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।
৮. ওট বা জই
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেলস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এ ছাড়া ত্বকে বলিরেখা পড়াও ঠেকায় ওট।
৯. তরমুজ
এতেও রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বলিরেখা পড়া ঠেকায়।
১০. গাজর
এতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট দেহে ফ্রি র্যাডিকেলস এর মাধ্যমে ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করে।
১১. ব্লুবেরি
এটি ভিটামিন সি এবং ই-তে ঠাসা। বেরির মধ্যে এটিই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
১২. লাল বাঁধাকপি
নিয়মিত লাল বাঁধাকপি খেলে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।
১৩. কিউই
এটি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যকর গাড় গড়ে তোলে। এ ছাড়া দেহে ফ্রি র্যাডিকেল নিষ্ক্রিয় করতে ভুমিকা পালন করে।
১৪. মৌরি
আঁশসমৃদ্ধ এই খাদ্যটি দেহেকে বিষমুক্ত করতে এবং হজমে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
১৫. লেবু এবং গরম পানি
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি এবং লেবুর রস খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে।
১৬. কিডনি বীন বা শিম
পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই শিম হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
১৭. অলিভ অয়েল
এতে থাকা পলিফেনলস এবং ভিটামিন ই দুটোই বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
১৮. নারকেলের পানি
একে বলা হয় বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধের সেরা পানীয়। এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান ত্বককে সজীব রাখে।
১৯. স্ট্রবেরি
ভিটামিন সি-তে ঠাসা এটি। যা দেহে কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায়। আর এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার দেহ মনকে চনমনে করে তারুণ্যে অনুভূতি এনে দিবে।
২০. আপেল
ভিটামিন সি’র সমৃদ্ধ উৎস। যা ত্বকের কোষগুলোর জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাবে এবং তারুণ্য বোধ করবেন।
২১. শ্বেতবীজ বা শণবীজ
এতে থাকা লিগনাস কোলোস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে রাখতে বেশ সহায়ক।
২২. দারুচিনি
এটি কোলোজেনের উৎপাদন বাড়ায় যা আবার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
২৩. আদা
জিনজারোল সমৃদ্ধ আদার প্রদাহরোধী কার্যকারিতা বিশাল।
২৪. ব্রোকোলি
এটি ডায়াবেটিস ও স্থূলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। কারণ এটি দেহে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যালফাঙ্কশন প্রতিরোধ করে।
২৫. মাছ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
সূত্র : এনডিটিভি