ঢাকা , বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে খেতে হবে এই ১৫টি খাদ্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ব্রণের চেয়েও ত্বকের তৈলাক্ততা ভাবকে লোকে বেশি ভয় পায়। প্রকৃতপক্ষে ব্রণ সৃষ্টিতে ত্বকের তৈলাক্ততা একটি বড় কারণ। ত্বকের তৈলাক্ততার মূল কারণ জেনেটিক বা বংশগতির মাধ্যমে আসে। তবে এই সমস্যা মোকাবেলায় বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। সেসবের একটি হলো সঠিক খাবার খাওয়া। আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের ত্বকের যত্নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। সুতরাং ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য কোন খাবারটি খেতে হবে আর কোন খাবারটি বর্জন করতে হবে তা জানাটা সত্যিকার অর্থেই দীর্ঘমেয়াদে বেশ সহায়ক হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন খাবারগুলো খেতে হবে…

১. শসা
এই ফলটির ৮০% পানি। এ ছাড়া এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার ত্বককে সজীব রাখবে।

২. বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।

যা ত্বকের তৈলাক্ততার সমস্যা দূর করে তাৎক্ষণিকভাবে।

৩. কমলা
লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাস জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ট্রক্সিন দূরকারী উপাদান। যা আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করবে।

৪. সবুজ সবজি
সবুজ সবজিতে কোনো তেল বা চর্বি নেই। সবুজ সবজি প্রচুর আঁশসমৃদ্ধ যা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ত্বক উভয়কেই পরিষ্কার করবে।

৫. অ্যাভোকাডো
এটি শুধু খাওয়াই যায় না বরং ত্বকেও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়। এটি আপনার ত্বকের জন্য একটি কার্যকর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

৬. ডাল ও শুঁটি জাতীয় খাদ্য
শুঁটি জাতীয় খাদ্য তেলের উৎপাদন কমিয়ে রেখে আমাদের ত্বককে পরিষ্কার করে রাখে। ডালও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কার্যকর। এসবে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং প্রোটিন। এ ছাড়া অ্যামাইনো এসিডও আছে বেশ। যা তেলের নিঃসরণ কমায়।

৭. জাম্বুরা
জাম্বুরা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি দেহকে বিষমুক্ত করে। এ ছাড়া এতে পানিও থাকে উচ্চ মাত্রায়।

৮. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যগুলোতে থাকে প্রচুর আঁশ। যা খাদ্যের হজম প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক। এবং আমদের ত্বককেও ব্রণ ও তেল মুক্ত রাখে।

৯. মাছ
মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমায়।

১০. ব্রোকোলি
প্রচুর পরিামাণে ভিটামিন সি থাকে। যা সহজেই শুষে নেয় দেহ। ত্বকের তৈলাক্ততাক কমায় ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।

১১. ফল ও সবজি
হজম সমস্যার সমাধান করে এসব খাদ্য। আর হজমের সমস্যার কারণেও অনেক সময় ত্বক তৈলাক্ত হয় এবং ব্রণ ওঠে।

১২. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট শুধু সুস্বাদুই নয় বরং ব্রণের প্রদাহ কমাতেও কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১৩. নারকেলের পানি
এটি আপনার ত্বককে আর্দ্র রাখতে বেশ উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে। এটি ত্বককে পরিষ্কার ও নমনীয় রাখে এবং তৈলাক্ততা কমায়।

১৪. লেবু
আপনি হয়তো জানেন না। লেবু আপনার ত্বকের কতটা উপকার করতে পারে। এটি খেলে আপনার ত্বক শুধু পরিষ্কারই নয় বরং দেখতেও মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে।

১৫. কলা
প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হয়। কলাতে আছে ভিটামিন ই, ফসফেট এবং পটাশিয়াম যা ত্বকের দ্বীপ্তি বাড়ায়। কলাও দেহকে টক্সিনমুক্ত করে। এটি লোমকূপকে সুরক্ষিত রাখে যাতে তা দিয়ে ময়লা প্রবেশ করতে না পারে এবং তেলের গাদ তৈরি করতে না পারে।
সূত্র : এনডিটিভি

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে খেতে হবে এই ১৫টি খাদ্য

আপডেট টাইম : ১২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ব্রণের চেয়েও ত্বকের তৈলাক্ততা ভাবকে লোকে বেশি ভয় পায়। প্রকৃতপক্ষে ব্রণ সৃষ্টিতে ত্বকের তৈলাক্ততা একটি বড় কারণ। ত্বকের তৈলাক্ততার মূল কারণ জেনেটিক বা বংশগতির মাধ্যমে আসে। তবে এই সমস্যা মোকাবেলায় বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। সেসবের একটি হলো সঠিক খাবার খাওয়া। আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদের ত্বকের যত্নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। সুতরাং ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য কোন খাবারটি খেতে হবে আর কোন খাবারটি বর্জন করতে হবে তা জানাটা সত্যিকার অর্থেই দীর্ঘমেয়াদে বেশ সহায়ক হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন খাবারগুলো খেতে হবে…

১. শসা
এই ফলটির ৮০% পানি। এ ছাড়া এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার ত্বককে সজীব রাখবে।

২. বাদাম
বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।

যা ত্বকের তৈলাক্ততার সমস্যা দূর করে তাৎক্ষণিকভাবে।

৩. কমলা
লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাস জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ট্রক্সিন দূরকারী উপাদান। যা আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করবে।

৪. সবুজ সবজি
সবুজ সবজিতে কোনো তেল বা চর্বি নেই। সবুজ সবজি প্রচুর আঁশসমৃদ্ধ যা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ত্বক উভয়কেই পরিষ্কার করবে।

৫. অ্যাভোকাডো
এটি শুধু খাওয়াই যায় না বরং ত্বকেও সরাসরি প্রয়োগ করা যায়। এটি আপনার ত্বকের জন্য একটি কার্যকর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

৬. ডাল ও শুঁটি জাতীয় খাদ্য
শুঁটি জাতীয় খাদ্য তেলের উৎপাদন কমিয়ে রেখে আমাদের ত্বককে পরিষ্কার করে রাখে। ডালও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কার্যকর। এসবে আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং প্রোটিন। এ ছাড়া অ্যামাইনো এসিডও আছে বেশ। যা তেলের নিঃসরণ কমায়।

৭. জাম্বুরা
জাম্বুরা তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি দেহকে বিষমুক্ত করে। এ ছাড়া এতে পানিও থাকে উচ্চ মাত্রায়।

৮. পূর্ণ শস্য
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যগুলোতে থাকে প্রচুর আঁশ। যা খাদ্যের হজম প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক। এবং আমদের ত্বককেও ব্রণ ও তেল মুক্ত রাখে।

৯. মাছ
মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমায়।

১০. ব্রোকোলি
প্রচুর পরিামাণে ভিটামিন সি থাকে। যা সহজেই শুষে নেয় দেহ। ত্বকের তৈলাক্ততাক কমায় ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।

১১. ফল ও সবজি
হজম সমস্যার সমাধান করে এসব খাদ্য। আর হজমের সমস্যার কারণেও অনেক সময় ত্বক তৈলাক্ত হয় এবং ব্রণ ওঠে।

১২. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট শুধু সুস্বাদুই নয় বরং ব্রণের প্রদাহ কমাতেও কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১৩. নারকেলের পানি
এটি আপনার ত্বককে আর্দ্র রাখতে বেশ উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে। এটি ত্বককে পরিষ্কার ও নমনীয় রাখে এবং তৈলাক্ততা কমায়।

১৪. লেবু
আপনি হয়তো জানেন না। লেবু আপনার ত্বকের কতটা উপকার করতে পারে। এটি খেলে আপনার ত্বক শুধু পরিষ্কারই নয় বরং দেখতেও মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে।

১৫. কলা
প্রতিদিন একটি করে কলা খেলে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হয়। কলাতে আছে ভিটামিন ই, ফসফেট এবং পটাশিয়াম যা ত্বকের দ্বীপ্তি বাড়ায়। কলাও দেহকে টক্সিনমুক্ত করে। এটি লোমকূপকে সুরক্ষিত রাখে যাতে তা দিয়ে ময়লা প্রবেশ করতে না পারে এবং তেলের গাদ তৈরি করতে না পারে।
সূত্র : এনডিটিভি