ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নায়িকা থেকে যেভাবে ইসলামের পথে আসলেন নাজনীন হ্যাপী

২০১৫ সালের সবচে আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন তিনি। উঠতি নায়িকা হিসাবে নয়, তিনি আলোচনায় এসেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। সেই মামলায় রুবেলকে জেলও খাটতে হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নিজেকে ‍পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন নাজনীন আক্তার হ্যাপী। কিভাবে বদলে গেলেন তিনি, সেটা নিজেই লিখেছেন তার ফেসবুক ওয়ালে। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের পাঠকদের জন্য নাজনীন আক্তার হ্যাপীর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

আমাকে যারা ভালবাসেন, যারা জানতে চান কিভাবে আমার ঈমান জাগলো? কিভাবে দ্বীনের পথে ফিরে আসা? দ্বীনের পথে এসে কি ছাড়লাম, কি পেলাম? কতটুক কষ্ট সহ্য করলাম? কত শত প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছিল? শারীরিক, মানসিক যন্ত্রণা কতটুকু ছিল? এসবসহ শত শত প্রশ্ন আপনাদের। আপনারা জানতে চান, কারণ আমার প্রতি ভালবাসা এক আল্লাহর জন্য।আলহামদুলিল্লাহ!

বই লিখতে চেয়েছিলাম। শুরুও করেছিলাম।কিন্তু ব্যাক পেইনের জন্য আর হয়ে উঠছে না। আমার আল্লাহ সহজ করে দিলেন। ইনশাআল্লাহ আশা করছি আমার ঈমানজাগা নিয়ে একটি সাক্ষাতকার বই আকারে খুব দ্রুতই আসবে (একটি অন্যতম নামকরা ইসলামিক প্রকাশনা থেকে)। আল্লাহওয়ালা কিছু মানুষের মেহনতের কারণেই আমার বইটি আসবে ইনশাআল্লাহ! তাদের উসিলায় আল্লাহ যদি আমাকে সামান্যতমও দ্বীনের খেদমত করান সেটাই আমার চাওয়া।

সেখানে না বলা কথাগুলো বলব ইনশাআল্লাহ! যাতে করে কিছু মানুষ হলেও আল্লাহর পথে ফিরে আসার একটা অনুপ্রেরণা পায়! দ্বীনের পথে কঠিন বাধা আসলেও যেন পিছ পা না হয়।যদি আল্লাহ আমাকে উসিলা হিসাবে কবুল করেন তাহলেই ! এমন এমন সব বাধা, লাঞ্ছনার মুখোমুখি হয়েছি যা কোনো কঠিন হৃদয়ের মানুষকেও কাঁদাতে বাধ্য এবং এমন কিছু কথা আছে যা কখনো কাউকে বলিনি,শুধু আল্লাহ আর আমি জানি। সেগুলো গোপন রাখতেই চেয়েছিলাম কিন্তু দ্বীনের স্বার্থে কিছু কিছু প্রকাশ করে যেতে চাই।বইটা পড়ে যদি একজন মানুষও আমার উসিলায় হেদায়েত পায়, এই উসিলায় হয়তো সেই কঠিন দিনে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিবেন! কে জানে! হতেও তো পারে!

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়িকা থেকে যেভাবে ইসলামের পথে আসলেন নাজনীন হ্যাপী

আপডেট টাইম : ০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০১৭

২০১৫ সালের সবচে আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন তিনি। উঠতি নায়িকা হিসাবে নয়, তিনি আলোচনায় এসেছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে। সেই মামলায় রুবেলকে জেলও খাটতে হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নিজেকে ‍পুরোপুরি বদলে নিয়েছেন নাজনীন আক্তার হ্যাপী। কিভাবে বদলে গেলেন তিনি, সেটা নিজেই লিখেছেন তার ফেসবুক ওয়ালে। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের পাঠকদের জন্য নাজনীন আক্তার হ্যাপীর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

আমাকে যারা ভালবাসেন, যারা জানতে চান কিভাবে আমার ঈমান জাগলো? কিভাবে দ্বীনের পথে ফিরে আসা? দ্বীনের পথে এসে কি ছাড়লাম, কি পেলাম? কতটুক কষ্ট সহ্য করলাম? কত শত প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছিল? শারীরিক, মানসিক যন্ত্রণা কতটুকু ছিল? এসবসহ শত শত প্রশ্ন আপনাদের। আপনারা জানতে চান, কারণ আমার প্রতি ভালবাসা এক আল্লাহর জন্য।আলহামদুলিল্লাহ!

বই লিখতে চেয়েছিলাম। শুরুও করেছিলাম।কিন্তু ব্যাক পেইনের জন্য আর হয়ে উঠছে না। আমার আল্লাহ সহজ করে দিলেন। ইনশাআল্লাহ আশা করছি আমার ঈমানজাগা নিয়ে একটি সাক্ষাতকার বই আকারে খুব দ্রুতই আসবে (একটি অন্যতম নামকরা ইসলামিক প্রকাশনা থেকে)। আল্লাহওয়ালা কিছু মানুষের মেহনতের কারণেই আমার বইটি আসবে ইনশাআল্লাহ! তাদের উসিলায় আল্লাহ যদি আমাকে সামান্যতমও দ্বীনের খেদমত করান সেটাই আমার চাওয়া।

সেখানে না বলা কথাগুলো বলব ইনশাআল্লাহ! যাতে করে কিছু মানুষ হলেও আল্লাহর পথে ফিরে আসার একটা অনুপ্রেরণা পায়! দ্বীনের পথে কঠিন বাধা আসলেও যেন পিছ পা না হয়।যদি আল্লাহ আমাকে উসিলা হিসাবে কবুল করেন তাহলেই ! এমন এমন সব বাধা, লাঞ্ছনার মুখোমুখি হয়েছি যা কোনো কঠিন হৃদয়ের মানুষকেও কাঁদাতে বাধ্য এবং এমন কিছু কথা আছে যা কখনো কাউকে বলিনি,শুধু আল্লাহ আর আমি জানি। সেগুলো গোপন রাখতেই চেয়েছিলাম কিন্তু দ্বীনের স্বার্থে কিছু কিছু প্রকাশ করে যেতে চাই।বইটা পড়ে যদি একজন মানুষও আমার উসিলায় হেদায়েত পায়, এই উসিলায় হয়তো সেই কঠিন দিনে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিবেন! কে জানে! হতেও তো পারে!