প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মেটাকে বাংলাদেশে ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া তথ্য ও গুজব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনের সাইডলাইনে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান স্যার নিক ক্লেগের সঙ্গে আলোচনায় এই আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক ও পুঁজিপতিরা বাংলাদেশ থেকে কয়েক দশক ধরে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এখন তাঁরা সেই অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছেন।
ব্রিটেনের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়ায় ফেসবুকে ভুয়া তথ্য যাচাই ও ডিজিটাল ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ইউরোপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বরং বাংলাদেশে ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রম আরও জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের উপায় খোঁজা হবে, যা উইকিপিডিয়ার মতো কাজ করবে।
এই দুই নেতার ৩০ মিনিটের বৈঠকে স্যার ক্লেগ মেটার দক্ষতা ব্যবহার করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান জানান, সম্প্রতি উন্মুক্ত করা মেটার বৃহৎ ভাষা মডেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লামা (এলএলএমএ) স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হবে।
অধ্যাপক ইউনূস মেটাকে বাংলাদেশে লামার ওপর এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।’
বৈঠকে মেটার পলিসি প্ল্যানিং ডিরেক্টর প্রবীর মেহতা, বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মুর্শেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।