ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো খেলে হারল বিসিবি একাদশ

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশ। ফতুল্লায় ইমরুল কায়েসের শতকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। জবাবে ২৯ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

৩১০ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে জবাবে দুর্দান্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। প্রথম ৯ ওভারেই ৭৬ রান তুল নেয় ইংলিশরা। ২২ বলে ৪০ রান করে বিসিবির পেসারদের ওপর ছড়ি ঘোড়াচ্ছিলেন রয়। তবে তরুণ পেসার এবাদত হোসেনের চতুর্থ বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জেমস ভিঞ্চকেও ফিরিয়ে দেন এবাদত। এরপর দলীয় ১২৯ রানে জনি বেয়ারস্টকে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এরপর দলীয় ১৪৩ রানে ডাকেটকে ফিরিয়ে বিসিবির জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলেন স্পিনার শুভাগত হোম।

ভালো খেলতে থাকা বেন স্টোকসকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার প্রায় ধসিয়ে দেন আল আমিন। তবে এরপর মঈন আলকে নিয়ে জয়ের পেছনে ছুটতে থাকেন অধিনায়ক জস বাটলার।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এই দুজন ১৩৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। অধিনায়ক বাটলার ৬৪ বলে ৮০ ও মঈন আলী মাত্র ৫৮ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিসিবি বোলারদের মধ্যে এবাদত দুটি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আল আমিন ও শুভাগত হোম একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে ফতুল্লায় আজ টস জিতেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক নাসির হোসেন। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের দলটি। দলীয় ৩৫ রানে মাত্র ৭ রান করে ফিরে যান সৌম্য সরকার। উকসের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই ওপেনার।

এরপর নাজমুল ইসলাম শান্তকে নিয়ে দারুণ জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। ৪৬ বলে প্রথম অর্ধশতক, পরের অর্ধশতকটি মাত্র ৩৫ বলে পূর্ণ করেন ইমরুল। ৯১ বলে ১২১ করে উইলির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল ইমরুলের ইনিংসে।

তবে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন উদীয়মান ব্যাটসম্যান শান্ত। তবে তার আগে নিজের সক্ষমতা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। একুশতম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হবার পর উইকেটে আসেন মুশফিক।

আদিল রশিদের প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। এর মধ্যে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ইমরুলের বিদায়ের পর অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন মুশফিক। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে বেন স্টোকসের বলে আউট হবার আগে ৫৭ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন মুশি।

মুশফিক আউট হবার দ্রুতই ফিরে যান শুভাগত হোম ও নাসির হোসেন। আউট হবার আগে ৪৫ বলে ৪৬ রান করেন নাসির হোসেন। ৪৭ ও ৪৮তম ওভারে আল আমিন ও নুরুল হাসান সোহান আউট হলে শেষ ১০ ওভারের সুবিধাটুক কাজে লাগাতে পারেনি বিসিবি একাদশ।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস উকস তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া ডেভিড উইলি ও বেন স্টোকস দুটি করে উইকেট লাভ করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভালো খেলে হারল বিসিবি একাদশ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একাদশ। ফতুল্লায় ইমরুল কায়েসের শতকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান সংগ্রহ করে বিসিবি একাদশ। জবাবে ২৯ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

৩১০ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে জবাবে দুর্দান্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। প্রথম ৯ ওভারেই ৭৬ রান তুল নেয় ইংলিশরা। ২২ বলে ৪০ রান করে বিসিবির পেসারদের ওপর ছড়ি ঘোড়াচ্ছিলেন রয়। তবে তরুণ পেসার এবাদত হোসেনের চতুর্থ বলে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে জেমস ভিঞ্চকেও ফিরিয়ে দেন এবাদত। এরপর দলীয় ১২৯ রানে জনি বেয়ারস্টকে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এরপর দলীয় ১৪৩ রানে ডাকেটকে ফিরিয়ে বিসিবির জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলেন স্পিনার শুভাগত হোম।

ভালো খেলতে থাকা বেন স্টোকসকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার প্রায় ধসিয়ে দেন আল আমিন। তবে এরপর মঈন আলকে নিয়ে জয়ের পেছনে ছুটতে থাকেন অধিনায়ক জস বাটলার।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এই দুজন ১৩৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। অধিনায়ক বাটলার ৬৪ বলে ৮০ ও মঈন আলী মাত্র ৫৮ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিসিবি বোলারদের মধ্যে এবাদত দুটি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আল আমিন ও শুভাগত হোম একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে ফতুল্লায় আজ টস জিতেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক নাসির হোসেন। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের দলটি। দলীয় ৩৫ রানে মাত্র ৭ রান করে ফিরে যান সৌম্য সরকার। উকসের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই ওপেনার।

এরপর নাজমুল ইসলাম শান্তকে নিয়ে দারুণ জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। ৪৬ বলে প্রথম অর্ধশতক, পরের অর্ধশতকটি মাত্র ৩৫ বলে পূর্ণ করেন ইমরুল। ৯১ বলে ১২১ করে উইলির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার মার ছিল ইমরুলের ইনিংসে।

তবে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন উদীয়মান ব্যাটসম্যান শান্ত। তবে তার আগে নিজের সক্ষমতা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। একুশতম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হবার পর উইকেটে আসেন মুশফিক।

আদিল রশিদের প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। এর মধ্যে অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ইমরুলের বিদায়ের পর অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন মুশফিক। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে বেন স্টোকসের বলে আউট হবার আগে ৫৭ বলে ৫১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন মুশি।

মুশফিক আউট হবার দ্রুতই ফিরে যান শুভাগত হোম ও নাসির হোসেন। আউট হবার আগে ৪৫ বলে ৪৬ রান করেন নাসির হোসেন। ৪৭ ও ৪৮তম ওভারে আল আমিন ও নুরুল হাসান সোহান আউট হলে শেষ ১০ ওভারের সুবিধাটুক কাজে লাগাতে পারেনি বিসিবি একাদশ।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ক্রিস উকস তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া ডেভিড উইলি ও বেন স্টোকস দুটি করে উইকেট লাভ করেন।