বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৃত্তি নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সে উন্নত প্রশিক্ষণে গেছেন বাংলাদেশের সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। এই মুহূর্তে সেখানে তার কাটছে বন্দি জীবন। ভুলে থাকতে হচ্ছে সুইমিং পুলে নামার কথাও। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ইউরোপ এখন করোনাভাইরাসের ‘নতুন’ কেন্দ্রস্থলই বলা চলে। বিশেষ করে ইতালিতে যার ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। ফ্রান্সে যে সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দেড় শ ছুঁয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাঁতারু আরিফুলের তাই আতঙ্ক নিয়েই দিন কাটছে ফ্রান্সে। গতকাল ফ্রান্সের রুয়েন থেকে আরিফুল বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে আমাদের ক্লাবের সব ধরনের অনুশীলনই বন্ধ।
ফ্ল্যাটে বন্দী সময় কাটছে সবার। দেশ থেকে মা ফোনে বলছেন, সব বাদ দিয়ে চলে আয়।’ চাইলেও অবশ্য আরিফুলের আসার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসা ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তী ঘোষণা দেওয়া না পর্যন্ত যা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ওদিকে অন্য অ্যাথলেটদের সঙ্গে আরিফ যে ফ্ল্যাটে থাকছেন, তার পাশের ফ্ল্যাটেরই ৫৩ বছরের এক মহিলার শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাস। এ অবস্থায় পরিবার থেকে দূরে থাকা আরিফের মনটাও যে অস্থির তা বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া যায়, ‘কি আর করা। পরিস্থিতির শিকার। রুমের মধ্যেই বন্দী থাকতে হচ্ছে। বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এমনি এমনি যদি কেউ বাইরে যায়, তাকে ৩০ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে। আর অসুস্থতা নিয়ে গেলে ১৫০ ইউরো।’ ‘আমি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) কথা বলেছি। ওনারা বলেছেন, কয়েক দিন অপেক্ষা করতে। আজ (গতকাল) আওসির (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) মিটিং আছে। এরপর হয়তো আমাদের এখান থেকে বলবে আমরা কী করব। এখানে থাকব না ফিরে যাব।’ আরিফ জানালেন, যে ক্লাবটিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি, সেখানে আইওসির বৃত্তি নিয়ে ১৫ জনের মতো ক্রীড়াবিদ অবস্থান করছেন। যাদের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশি আরিফসহ সাঁতারু মাত্র দুজন। টোকিও অলিম্পিক সামনে রেখে দুই বছরের বৃত্তি নিয়ে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন আরিফ। মাঝে অবশ্য দেশে ফিরে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। খেলেছেন ডিসেম্বরে নেপালে হয়ে যাওয়া সবশেষ এসএ গেমসেও।