ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত পাকিস্তানের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই সূচকে ১১৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৭৬তম অবস্থানে। অন্যদিকে পাকিস্তান রয়েছে ৯২ ও ভারত ১০১ নম্বর অবস্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সমানসংখ্যক ৭৬ পয়েন্ট পেয়েছে নেপালও। এদিকে জাতিসংঘ ২০৩০-এর ক্ষুধামুক্ত বিশ্বের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়েছে। যুদ্ধ-সংঘাত, করোনা মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

ক্ষুধা সূচকে মাত্র ১৫টি দেশ রয়েছে ভারতের পেছনে। ভারতের পেছনে থাকা দেশগুলো হলো- পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, মোজাম্বিক, কঙ্গো, সিয়েরা লিওন, হাইতি, পূর্ব তিমুর, লাইবেরিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, মাদাগাস্কার, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইয়েমেন ও সোমালিয়া। এসব দেশের বেশিরভাগ দেশই আফ্রিকার দরিদ্র দেশ।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কম ক্ষুধা সূচক ইনডেক্স উত্তরণে ব্যর্থ হবে বিশ্বের ৪৭টি দেশ। এই ইনডেক্সে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির পয়েন্ট খুব কম। এ ছাড়া আরও ৫টি দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

উদ্বেগজনক দেশগুলো হলো- গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মাদাগাস্কার ও ইয়েমেন। এসব দেশের ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো হাঙ্গারের দিকে অগ্রগতির লক্ষ থাকলেও ইতোমধ্যে অনেক ধীর, স্থবির এমনকি বিপরীত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

এদিকে গত বছরের (২০২০ সাল) বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৬তম।

বেসরকারি সংস্থা ওয়েলথহাঙ্গার লাইফ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড জানিয়েছে, গত দুই বছরে অর্থনৈতিক পতনের কারণে সারা বিশ্বে অনেক মানুষ নতুন করে ক্ষুধার্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই গবেষণা অনুযায়ী, গত বছর পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৩২ কোটি থেকে বেড়ে বিশ্বের জনসংখ্যায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ২৪০ কোটিতে পৌঁছেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত পাকিস্তানের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই সূচকে ১১৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৭৬তম অবস্থানে। অন্যদিকে পাকিস্তান রয়েছে ৯২ ও ভারত ১০১ নম্বর অবস্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সমানসংখ্যক ৭৬ পয়েন্ট পেয়েছে নেপালও। এদিকে জাতিসংঘ ২০৩০-এর ক্ষুধামুক্ত বিশ্বের লক্ষ্য থেকে ছিটকে পড়েছে। যুদ্ধ-সংঘাত, করোনা মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

ক্ষুধা সূচকে মাত্র ১৫টি দেশ রয়েছে ভারতের পেছনে। ভারতের পেছনে থাকা দেশগুলো হলো- পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, মোজাম্বিক, কঙ্গো, সিয়েরা লিওন, হাইতি, পূর্ব তিমুর, লাইবেরিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, মাদাগাস্কার, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইয়েমেন ও সোমালিয়া। এসব দেশের বেশিরভাগ দেশই আফ্রিকার দরিদ্র দেশ।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কম ক্ষুধা সূচক ইনডেক্স উত্তরণে ব্যর্থ হবে বিশ্বের ৪৭টি দেশ। এই ইনডেক্সে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির পয়েন্ট খুব কম। এ ছাড়া আরও ৫টি দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

উদ্বেগজনক দেশগুলো হলো- গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মাদাগাস্কার ও ইয়েমেন। এসব দেশের ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো হাঙ্গারের দিকে অগ্রগতির লক্ষ থাকলেও ইতোমধ্যে অনেক ধীর, স্থবির এমনকি বিপরীত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

এদিকে গত বছরের (২০২০ সাল) বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই সূচকে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৬তম।

বেসরকারি সংস্থা ওয়েলথহাঙ্গার লাইফ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড জানিয়েছে, গত দুই বছরে অর্থনৈতিক পতনের কারণে সারা বিশ্বে অনেক মানুষ নতুন করে ক্ষুধার্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই গবেষণা অনুযায়ী, গত বছর পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৩২ কোটি থেকে বেড়ে বিশ্বের জনসংখ্যায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ২৪০ কোটিতে পৌঁছেছে।